বছরে প্রায় দুই হাজার মানুষ লিম্ফোমায় মারা যায়
বাংলাদেশে প্রতিবছর লিম্ফোমায় আক্রান্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ শনাক্ত হয়। প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মানুষ লিম্ফোমায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত হলে এবং চিকিৎসা নিলে এ মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। বিশ্ব লিম্ফোমা সচেতনতা দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগ।
প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব লিম্ফোমা দিবস হিসেবে পালিত হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘লিম্ফোমায় চিকিৎসায় বিলম্ব নয়’।
লিম্ফোমা হচ্ছে মূলত লসিকাগ্রন্থির ক্যানসার। লিম্ফোমা দুই ধরনের—১. হজকিন্স, ২. নন-হজকিন্স। লিম্ফোমায় আক্রান্ত রোগীদের লসিকাগ্রন্থি ফুলে যায়, জ্বর হয়, রাতে ঘাম হয়, ওজন কমে যায়। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। এগুলোই মূলত লিম্ফোমার মূল উপসর্গ।
তবে লিম্ফোমায় কত মানুষ আক্রান্ত হয় ও মারা যায়, জাতীয়ভাবে এর কোনো পরিসংখ্যান নেই। ক্যানসারের ওপর নজরদারি করা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবোক্যান বলছে, সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ছয় লাখ মানুষ লিম্ফোমায় আক্রান্ত হয় এবং প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষ লিম্ফোমায় মারা যায়। গ্লোবোক্যানের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশে তিন হাজারের মতো মানুষ শনাক্ত হয় এবং প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায়। আজ বিএসএমএমইউতে আয়োজিত সেমিনারে মূলত এ পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন শাহ। তিনি বলেন, লিম্ফনোড বা লসিকাগ্রন্থি থেকে বায়োপসি, ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট্রি, সিবিসি, পিবিএফ, ফ্লো সাইটোমেট্রি এবং ক্ষেত্রবিশেষে সাইটোজেনেটিক ও মলিকিউলার পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয় এবং বোনম্যারো ও পেট সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে রোগীর রোগের বিস্তৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা হয়।