৮৩ হাজার কারাবন্দীর জন্য চিকিৎসক ৪ জন

দেশের কারাগারগুলোতে প্রায় ৮৩ হাজার বন্দী রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের জন্য চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র চারজন। ভিআইপি বন্দীরা কারাগারের বাইরে কিছু হাসপাতালে সেবা নিতে পারলেও সাধারণ বন্দীদের বেশির ভাগের ভাগ্যে চিকিৎসা জোটে না। এভাবে আরেক ধরনের ‘নির্যাতন’ বা ‘শাস্তি’ ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের। এতে অনেক সময় কয়েদির মৃত্যু হচ্ছে। আবার আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।

কারাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চিকিৎসকদের ‘প্রেষণে’ বা ‘সংযুক্ত’ করে কারা হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁরা থাকতে চান না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কারাগারে চিকিৎসকদের নিয়োগ দিলেও তাঁরা যোগ দিচ্ছেন না। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কারাগারে চিকিৎসকের পদ ‘প্রমোশনাল’ পদ নয়। নেই সুযোগ-সুবিধা। আছে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মানসিক দ্বন্দ্ব। তাই তাঁরা সেখানে কাজ করতে চান না।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে দেশের ১০টি কারাগারে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সব কারাগারেই বন্দীরা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঠিকমতো চিকিৎসা পান না। পেলেও তা নামমাত্র।

কারাগারের নিয়মানুযায়ী, প্রতিটি কারাগারে একজন মনোরোগ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কোনো কারাগারে এই চিকিৎসক নেই। অথচ কারাবন্দী রোগীদের নিয়মিত কাউন্সেলিং (পরামর্শ) ও বিশেষায়িত চিকিৎসা দরকার। নেই প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো চিকিৎসক। অন্যদিকে কারাগারের প্রায় তিন হাজার নারী বন্দী থাকলেও তাঁদের গাইনিসহ অন্যান্য রোগের কোনো চিকিৎসকই নেই। এ অবস্থায় অসুস্থ বন্দীদের স্থানীয় বা বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হচ্ছে। ফলে বন্দী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *