টুইটারের নীল টিক
![টুইটারের নীল টিক](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2022-10%2F88a311c4-2694-457b-8d00-472772a4f2e6%2Ftwitter.jpg?auto=format%2Ccompress&format=webp&w=300&dpr=1.0)
গত ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক এক গণমাধ্যমের সম্পাদক ডায়ানা পার্লের ইনবক্সে একটি ই–মেইল আসে। তাতে বলা হয়, তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে রাশিয়ার মস্কো থেকে কেউ একজন ঢুকেছেন (লগ–ইন করেছেন)। পার্লের আগে এ ধরনের মেইলের সঙ্গে পরিচয় ছিল। এ ধরনের মেইল সাধারণত টুইটার থেকেই করা হয়ে থাকে। এতে সাদা পটভূমি, কালো লেখা ও নীল রঙের লিংক থাকে।
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই লিংকে ক্লিক করে বসেন ডায়ানা। তিনি তাঁর অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে ওই লিংকে গিয়ে তাঁর পাসওয়ার্ড দেন এবং অ্যাকাউন্ট হালনাগাদ করেন। এর কয়েক মুহূর্ত পরেই একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে একটি বার্তা আসে।
এতে ডায়ানার টুইটার প্রোফাইলের স্ক্রিনশট ও একটি লিংক দেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পরেই টেলিগ্রাম গ্রুপের অ্যাডমিন একটি বার্তা দিয়ে জানান, ‘সোল্ড’। অর্থাৎ ডায়ানার অ্যাকাউন্টটি কালোবাজারে বিক্রি হয়ে গেছে।
ডায়ানা যে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন, তাকে বলা হয় ‘ফিশিং অ্যাটাক’। সাধারণত কারও সঙ্গে প্রতারণা করে বা প্রলোভন দেখিয়ে কোনো লিংকে ক্লিক করিয়ে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়াকে ফিশিং আক্রমণ বলে। সাইবার দুর্বৃত্তরা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কাজে এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ডায়ানার ক্ষেত্রে টুইটারের ছদ্মবেশে যে মেইলটি এসেছিল, তা পাঠিয়েছিল এক হ্যাকার। টুইটারের পক্ষ থেকে যে ধরনের মেইল দেওয়া হয়, তারই নকল করেছিল হ্যাকার। ডায়ানা যখন ওই মেইলটি পড়েন, তখন তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে এসে কম্পিউটারে বসে তিনি মেইল খুলবেন, তিনি ততটা ধৈর্য ধরতে পারেননি। এ ছাড়া মেইলটিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। এতে পার্ল ওই মেইল আর যাচাই করেননি। তিনি যদি ঠিকমতো যাচাই করতেন, তবে খুব সহজেই এই ফিশিং মেইলটির বিষয়টি ধরতে পারতেন। কারণ, এই লিংকটি তাঁকে যে পেজে নিয়ে গিয়েছিল, তা অফিশিয়াল টুইটার লিংক ছিল না।