ঢাবিতে ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখল সুইস প্রতিনিধিদল

‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখার ফাঁকে বটতলায় ফ্রেমবন্দী হন সুইস প্রতিনিধিদল। ২১ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখার ফাঁকে বটতলায় ফ্রেমবন্দী হন সুইস প্রতিনিধিদল। ২১ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনাগুলো নিয়ে গঠিত ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখেছে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ডসহ দেশটির একটি প্রতিনিধিদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের তরুণ গবেষকেরা মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা সম্পর্কে জানান তাদের।

https://10ms.io/SwFLdV
বিজ্ঞাপন

আজ শনিবার সুইস রাষ্ট্রদূত, তাঁর স্বামী অর্জান এফ এলিংভাগসহ ২০-২৫ জনের প্রতিনিধিদলটি এই ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত গণহত্যার ঐতিহাসিক স্থানগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সাল থেকে এই জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ। এরই অংশ হিসেবে আজ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হেঁটে ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখেন।

https://10ms.io/cwDayy
বিজ্ঞাপন

প্রতিনিধিদলকে নিয়ে ‘পাথওয়ে টু জেনোসাইড’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে। এরপর ডাকসু সংগ্রহশালা হয়ে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিবিজড়িত স্থান বটতলায় যায় তারা। পরে তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর স্মরণে নির্মিত স্মৃতিচিরন্তন, ব্রিটিশ কাউন্সিল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা শোনে প্রতিনিধিদলটি।

https://10ms.io/YwDoJq
বিজ্ঞাপন

সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কর্মসূচিতে অতিথিদের মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন সেন্টারের তরুণ গবেষকেরা। হেঁটে হেঁটে একাত্তরের ঘটনাবলি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আগেই সেন্টারের কার্যালয় পরিদর্শন করে দলটি। সেখানে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে অতিথিদের অবহিত করেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *