১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন গুলো – (২০২২)
১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন – (Best Android mobile phones under 10,000):
এখনকার সময়ে বহু মানুষই বাজেট-ফ্রেন্ডলি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন (android smartphone) নিতে পছন্দ করে।
বর্তমানে অসংখ্য মোবাইল ব্র্যান্ডগুলো প্রায় সময়েই কম বাজেটে ভালো ভালো ফোন মার্কেটে নিয়ে আসছে।
তাই, ২০২২ সালে আপনার যদি লক্ষ্য থাকে যে, ১০,০০০ টাকার মধ্যে একটা ভালো এন্ড্রয়েড মোবাইল কেনার;
তবে, আপনি এই টাকার মধ্যেই পেয়ে যেতে পারেন সেরা, টেকসই, স্টাইলিশ ও সাশ্রয়ী অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন।
১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোনের তালিকা:
চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক – ১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোনগুলো সম্পর্কে –
১. Realme C31:
Realme C31 মডেলটি খুবই শক্তিশালী ব্যাটারী লাইফের সাথে আসে।
এই মোবাইলটির একটা ১৩এমপি প্রাইমারি ক্যামেরা ও ট্রিপল ক্যামেরা মডিউল আছে।
এটির এক্সপ্যান্ডেবল মেমরি স্টোরেজ থাকার ফলে, আপনি মেমরি কার্ডের সাহায্যে এর মেমরি বাড়াতে পারবেন।
মূল্য: আনুমানিক ৯,৩০০ টাকা।
ফিচার:
– ৩জিবি RAM
– 4G VoLTE কানেক্শন
– ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারী
– অক্টাকোর সুপারফাস্ট প্রসেসর
– ১ টিবি পর্যন্ত এক্সপ্যান্ডেবল মেমরি
– ৬.৫ ইঞ্চি বেজেললেস ওয়াটারড্রপ নোটিশ ডিসপ্লে
– ৫ এমপি ফ্রন্ট ও ০.৩, ২ ও ১৩ এমপি রিয়ার ক্যামেরা
মোবাইলটি কেন কিনবেন ?
অনেক রকমের অন্যান্য কালারে উপলব্ধ।
ফাস্ট ব্যাটারী চার্জিং সিস্টেমের ফলে তাড়াতাড়ি চার্জ হয়।
উন্নত মানের গ্রাফিক্স কার্ড গেম খেলা ও সিনেমার দেখার জন্যে বেশ ভালো।
ডুয়াল ও হেক্সা কোর প্রসেসরের কম্বিনেশনের জন্যে মোবাইলটি মসৃণভাবে পারফর্ম করে।
২. Infinix Hot 12 Play:
Infinix Hot 12 Play-এর HD+ ডিসপ্লে আপনাকে ব্যাপকভাবে পরিষ্কার ভিডিও দেখার ও গেম খেলার অভিজ্ঞতা দেবে।
৯০Hz রিফ্রেশ রেট আপনার গেম খেলার অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করে দেবে।
আপনি এই মোবাইলের উপর নানান আকর্ষণীয় রঙের অপশনও পেয়ে যাবেন।
এর ভালো মানের অক্টাকোর প্রসেসর, এই ফোনকে স্মুথভাবে পারফর্ম করতে সাহায্য করে।
এই স্মার্টফোনের একটা ৮এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে, যা আপনাকে দারুণ সেলফি তুলতে সাহায্য করবে।
মূল্য: আনুমানিক ৮,৪৯৯ টাকা।
ফিচার:
– ৪ জিবি RAM
– ৯০Hz রিফ্রেশ রেট
– অক্টাকোর প্রসেসর
– ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারী
– রিয়ার ক্যামেরার ডেপ্থ সেস্নর
– এক্সপ্যান্ডেবল ইন্টারনাল মেমরি
– এলইডি ফ্ল্যাশ সমেত ৮এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
কেন কিনবেন ?
এই মোবাইলের ১৩ এমপি ব্যাক ক্যামেরা ও ডেপ্থ লেন্স আপনাকে হাই-কোয়ালিটির ছবি ও ভিডিও তুলতে সহায়তা করবে।
কোয়াড-লেড ফ্ল্যাশ আপনাকে লো-লাইট কন্ডিশনেও দারুণ ছবি তুলতে দেয়।
এর এক্সআরেনা ইন্টিগ্রেটেড গেম স্পেস ফিচার আপনাকে গেম খেলার একটা ব্যাপক অভিজ্ঞতা দেবে।
৪ জিবি RAM-এর সাহায্যে এই মডেলটিতে মাল্টিটাস্কিং করা কোনো ব্যাপারই না।
৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারী ও ৮টি প্রধান ব্যাটারী-সংরক্ষণকারী সেটিংস মোবাইলটিকে দারুণভাবে টেকসই করে তোলে।
৩. Intel A49:
১০ হাজার টাকার বাজেটে, Intel A49 মডেলটি আপনাকে ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলকের মতো বিশেষ ফিচারটি দেয়।
এর ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারির সাহায্যে এই মডেলটি ব্যাপকভাবে রান করতে সক্ষম।
এই মোবাইলে আপনি পেয়ে যাবেন ৫ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ৫ ও ৫এমপি দুটি রিয়ার ক্যামেরা।
ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকা সেন্সরের সাহায্যে সেলফি তোলা বেশ মজাদার হয়ে ওঠে।
এই মডেলটির ৩২জিবি ইন্টারনাল মেমরি আছে এবং আপনি এই মেমোরি এক্সপ্যান্ড করতে পারবেন ১২৮ জিবি পর্যন্ত।
মূল্য: আনুমানিক ৬,৪৯৯ টাকা।
ফিচার:
– উন্নত অ্যান্ড্রয়েড ১১ গো
– ডুয়াল সিম ও 4G কানেক্টিভিটি
– শক্তিশালী ৪০০০ এমএইচ ব্যাটারী
– ৬.৬০ ইঞ্চি HD+ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে
– ৫ ও ৫ এমপি ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা
– ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
কেন কিনবেন ?
এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ফেস আনলক- এই বাজেটের মধ্যে একে অন্যতম সেরা ফোনে পরিণত করেছে।
আপনি এই মোবাইলের উপর নানা রঙের বিকল্পও পেয়ে যাবেন।
এখানে আপনি দুটো সিম কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন।
এর কোয়াডকোর প্রসেসরের সাহায্যে আপনি আরামসে মাল্টিটাস্কিং করতে বা গেম খেলতেও পারবেন।
এই মোবাইলের ৬.৬০ এইচডি স্ক্রিনের সাহায্যে মুভি ও ভিডিও দেখার বেশ ভালো অভিজ্ঞতাও হবে।
৪. Tecno Pop 5 Pro:
Tecno Pop 5 Pro মডেলটি তার HD+ স্ক্রিনের জন্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
এর বড় ডিসপ্লেটি আপনাকে দারুণ সিনেম্যাটিক ভিউয়িং-এর অভিজ্ঞতা দেবে।
এর ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমরি আপনাকে ব্যাপক গেমিং এক্সপেরিয়েন্সের পাশাপাশি একদম স্মুথ মাল্টিটাস্কিং-এর অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম।
এক্সটার্নাল মেমরি কার্ডের সাহায্যে আপনি এর মেমরি ২৫৬ জিবি পর্যন্ত বাড়াতে পারবেন।
এটিও সব দারুণ-দারুণ রঙে উপলব্ধ আছে।
মূল্য: আনুমানিক ৮,৬৩৮ টাকা।
ফিচার:
– স্প্ল্যাশ-রেসিস্টেন্ট গঠন
– ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারী
– আলট্রা ব্যাটারী সেভিং মোড
– ৮ এমপি ক্যামেরা ও এএই লেন্স
– ৬.৫২ ইঞ্চি HD+ ডট-নচ ডিসপ্লে
কেন কিনবেন ?
মোবাইলে মসৃণভাবে গেম খেলতে চাইলে, এই বাজেটে ৩২ জিবি RAM-এর এই মডেলটি হল আপনার কাছে সেরা অপশনগুলোর মধ্যে একটি।
এটি স্প্ল্যাশ-রেসিস্টেন্ট হওয়ায় টুকটাক বৃষ্টির ফোঁটা বা জলের ছিটে লাগলেও ফোনের সেভাবে কোনো ক্ষতি হবে না।
আর, আপনি রাফ ইউস করতে এই ফোনটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
এর এআই লেন্স ও এআই বিউটি সেন্সরের সাহায্যে আপনি দারুণ সেল্ফিও নিতে পারবেন।
৫. Redmi 10A:
এই মডেলটির ৩ জিবি RAM হলেও, বেস ভ্যারিয়েন্ট-এর উপর নির্ভর করে এর RAM ৫ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
এটির বড় ডিসপ্লের সাহায্যে আপনি এই মোবাইলে পরিষ্কার ও ভালো কোয়ালিটিতে মুভি দেখতে পারবেন।
এর ১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং-এর ফলে, মোবাইলের ব্যাটারী খুব তাড়াতাড়ি চার্জ হয়ে যায়।
এই ডিভাইসেও আপনি পেয়ে যাবেন উন্নত মানের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
এর অক্টাকোর প্রসেসরের সাহায্যে এই মোবাইলটিকে আপনি মসৃণভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
মূল্য: আনুমানিক ৮,৫০০ টাকা।
ফিচার:
– অক্টাকোর প্রসেসর
– ৬.৫৩ ইঞ্চি বড় স্ক্রিন
– রিয়ার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
– ৩ জিবি RAM (পরিবর্তনশীল)
– ৫১২ জিবি এক্সপ্যান্ডেবল মেমোরি
– ১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি
– ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারী
– ১৩ এমপি রিয়ার ও ৫এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
কেন কিনবেন ?
এই মোবাইলের ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারী আপনাকে ২দিন পর্যন্ত চার্জ ছাড়াই এটিকে ব্যবহার করতে দেয়।
এর ১৩ এমপি রিয়ার ও ৫ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনাকে সুন্দর সুন্দর ছবি ও ভিডিও করতে সাহায্য করবে।
অক্টাকোর প্রসেসরের জন্যে আপনি কোনোরকমের কোনো ল্যাগ ছাড়াই স্মুথভাবে গেম খেলতে ও মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন।
এর চার্জিং ও অন্যান্য পোর্টগুলো করোসন-রেসিস্টেন্ট অর্থাৎ ক্ষয়-বিরোধী কোটিং-এর সাথে আসে, যা মোবাইলটিকে টেকসই করে তোলে।
৬. Lava X2:
সাধারণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে Lava X2 মডেলটি ১০ হাজার টাকার মধ্যে অন্যতম সেরা একটা স্মার্টফোন।
আপনি এই ডিভাইসে পেয়ে যাবেন শক্তিশালী ৫০০০ এমএএইচ-এর ব্যাটারী।
এর হেলিও চিপসেট আপনাকে মসৃণভাবে হাই-কোয়ালিটি ভিডিও ও গেমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।
এই মডেলটি ২জিবি RAM-এর সাথে আসে।
মূল্য: আনুমানিক ৬,৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– ২ জিবি RAM
– HD+IPS নচ ডিসপ্লে
– ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারী
– সুপার-ফাস্ট অক্টাকোর প্রসেসর
– মোবাইলের পিছনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
– ২৫৬ জিবি পর্যন্ত এক্সপ্যান্ডেবল মেমোরি
– ৮ এমপি রিয়ার ও ৫ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
কেন কিনবেন ?
১০ হাজার টাকার মধ্যে আপনার মোবাইলের তথ্যের নিরাপত্তার জন্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পেয়ে যাবেন এই স্মার্টফোনে।
এর শক্তিশালী ব্যাটারী অনেকক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম।
এর ক্যামেরাতে পোট্রেইট মোড, বিউটি মোড, অটো ফ্ল্যাশের মতো বেশ কতগুলো ফিচার রয়েছে।
এখানে আপনি 4G VoLTE কানেক্টিভিটি পেয়ে যাবেন।
এর বেজেললেস ডিসপ্লের সাহায্যে আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা দারুণ কোয়ালিটির ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন।
৭. Vivo Y01:
Vivo Y01 মডেলটির হেলিও চিপসেট ও অক্টাকোর প্রসেসর আপনাকে স্মুথভাবে ফোনটি অপারেট করতে সাহায্য করবে।
অ্যান্ড্রয়েড ১১ গো ভার্শন আপনাকে মসৃণভাবে মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞাত পেতে সাহায্য করবে।
এর একাধিক স্মার্ট সেন্সর আপনাকে লোকেশন থেকে শুরু করে আম্বিয়েন্ট লাইটের সাহায্যে অটোম্যাটিকভাবে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস এডজাস্ট করতে সাহায্য করে।
মূল্য: আনুমানিক ৮,৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– অ্যান্ড্রয়েড ১১
– হেলিও প্রসেসর
– একাধিক স্মার্ট সেন্সর
– আম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর
– ৬.৫১ ইঞ্চি HD+ ডিসপ্লে
– ডুয়াল ন্যানো সিম সাপোর্ট
কেন কিনবেন ?
এর HD+ স্ক্রিন ও আই প্রোটেকশন মোড আপনার চোখের যত্ন নেবে।
এর নানান ধরণের সেন্সরগুলো আপনাকে বিভিন্নভাবে নানান কাজে সাহায্য করতে সক্ষম।
এছাড়াও, এই যথেষ্ট বড় স্ক্রিন আপনাকে এইচডি ভিডিওগুলো এনজয় করতে সহায়তা করতে পারে।
আর, এর আধুনিক অ্যান্ড্রয়েড ভার্শনের কারণে আপনি স্মুথভাবে এই ফোনটিকে ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া, এর 3D স্লিম ডিসাইন আপনাকে বেশ সুন্দর একটা গ্রিপও দেবে।
৮. Micromax IN 2C:
এই মডেলটি একসাথে অনেকগুলো গেম খেলার জন্যে কম বাজেটে যথেষ্ট ভালো একটা মোবাইল।
এর ৪ জিবি RAM ও অক্টাকোর প্রসেসর বিনা হ্যাং করেই যেকোনো গেম ও ভিডিও চালাতে পারে।
এর উন্নতমানের ক্যামেরা ভালো মানের ছবি, ভিডিও ও সেল্ফি তোলার জন্যে যথেষ্ট ভালো।
এবং, এটির হাইব্রিড সিম স্লট সহজেই দুটো সিম ব্যবহারের জন্যে উপযুক্ত।
মূল্য: আনুমানিক ৮,৪৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– বেজেললেস পাঞ্চহোল ডিসপ্লে
– অক্টাকোর প্রসেসর ও ৪ জিবি RAM
– ১৩ এমপি ও ২ এমপি রিয়ার ক্যামেরা
– ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী লি-পলিমার ব্যাটারী
– হাই-কোয়ালিটি, আকর্ষণীয় ৬.৫২ ইঞ্চি IPS+HD ডিসপ্লে
কেন কিনবেন ?
এর মাল্টি-টাচ ফিচার আপনাকে ফোনটি আরও মসৃণভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
এর ক্যামেরাগুলো বেশ কতগুলো ভালো ফিচার নিয়ে এসেছে, যার সাহায্যে আপনি ভালো-ভালো সেল্ফি, ভিডিও ও ছবি তুলতে পারবেন।
এছাড়া, এর ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ডের ফলে, আপনি দারুণ কোয়ালিটির ভিডিও বা সিনেমা এনজয় করতে পারবেন।
আর, অবশ্যই এই মডেলটি 4G VoLTE কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে।
৯. OPPO A16K:
OPPO A16K মডেলটি সিঙ্গেল সেটআপ ক্যামেরাতে এলইডি ফ্ল্যাশ, অটো ফোকাস, এইচডিআর মোড, ডিজিটাল জুম্ ও আরও নানান ফিচার নিয়ে এসেছে।
এই মোবাইলটি আপনাকে বিশাল ভালোভাবে সেলফ-পোট্রেইট তুলতে সাহায্য করে।
অক্টাকোর প্রসেসর আছে বলে আপনি সহজেই মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন।
এর IPS LCD ডিসপ্লে যথেষ্ট বড়, যে কারণে এটি ব্যবহারকারীদের বেস্ট সিনেমাটিকে ভিউয়িং-এর অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম।
মূল্য: আনুমানিক ৯,৪৯০ টাকা।
ফিচার:
– এক্সপ্যান্ডেবল এক্সটার্নাল স্টোরেজ
– হেলিও চিপসেট ও ৩ জিবি RAM
– সিঙ্গেল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ
– ৪২৩০ এমএএইচ ব্যাটারী
– ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম
– ৬.৫ ইঞ্চি IPS LCD বেজেললেস ফ্রন্ট স্ক্রিন
– ৫ এমপি সেল্ফি শ্যুটার ক্যামেরা
কেন কিনবেন ?
সেল্ফি তোলার জন্যে এই মোবাইলের সেল্ফি শ্যুটার ক্যামেরাটি খুবই ভালো।
এর বেজেললেস স্ক্রিন আপনাকে হাই-কোয়ালিটি ভিডিও দেখতে সাহায্য করবে।
এই মডেলটির অক্টাকোর প্রসেসর আপনাকে ল্যাগ-ফ্রিভাবে গেম খেলতে সহায়তা করতে পারে।
গোরিলা গ্লাস প্রটেকশন আপনার মোবাইলের স্ক্রিনকে যেকোনো কন্ডিশনেই প্রোটেকশন দেয়।
১০. Oppo A16K 64GB:
হালকাভাবে বাজেটের থেকে একটু বেশি হলেও, Oppo A16K 64GB মডেলটি এই তালিকার অন্যতম সেরা ফোন।
এর ডিসপ্লে হচ্ছে সবথেকে বেশি শক্তিশালী।
কারণ, এই স্ক্রিনটি গোরিলা গ্লাসের প্রোটেকশন সমেত আসে।
তাই, এই মোবাইলের ডিসপ্লে চট করে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
এর ব্যাটারী লেআউট মোবাইলটিকে যথেষ্ট ফাঙ্কশনাল করে তোলে।
আপনি এই মোবাইল আনলিমিটেড গেম খেলতে পারবেন।
মূল্য: আনুমানিক ১০,৯৬০ টাকা।
ফিচার:
– ৪২৩০ এমএএইচ ব্যাটারী
– গোরিলা গ্লাস প্রোটেকশন
– এক্সপ্যান্ডেবল ইন্টারনাল স্টোরেজ
– 4G VoLTE কানেক্টিভিটি
– ভালো মানের ফ্রন্ট ও রিয়ার ক্যামেরা
– হেলিও চিপসেট প্রসেসর
– ৬০Hz স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট
কেন কিনবেন ?
এই মোবাইলের স্ক্রিন চট করে কোনো রকমের দুর্ঘটনাতে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
এর রিফ্রেশ রেট অনেকটা বেশি হওয়ায় ভালোভাবে কোনোরকমের ল্যাগ ছাড়াই গেম খেলতে ও মুভি দেখতে পাবেন।
এই মডেলটির ক্যামেরাগুলো ডিজিটাল জুম্, আইএস কন্ট্রোল, ও অটো ফ্লাশের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ ফিচার আছে।
যার ফলে, আপনি এই স্মার্টফোনটিতে যথেষ্ট ভালো ছবি ও ভিডিও করতে পারবেন।
পরিশেষে:
উপরের সব কটি স্মার্টফোনের মডেলই ২০২২ সালে লঞ্চ হয়েছে।
তবে, সময় অনুসারে এই মডেলগুলোর দাম কমতে-বাড়তে পারে।
আর, এই প্রতিটি মোবাইলের ক্ষেত্রেই আপনি সঠিক ইন্টারনেট যোগাযোগ, ব্লুটুথ, ইউএসবি কেবল ও অন্যান্য বেসিক ফিচারগুলো এমনিতেই পেয়ে যাবেন।
বাকিটা নির্ভর করছে, আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ও বাজেটের উপর।
তাই, হ্যাপি শপিং!