সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ‘প্রতিহিংসা’ বলছেন সামিয়া রহমান

সামিয়া রহমান
সামিয়া রহমান

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে আগাম অবসরের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন সামিয়া রহমানের কাছে পাওনা হিসেবে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ৷ তবে সামিয়া বলছেন, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘প্রতিহিংসা’। কিসের ভিত্তিতে টাকা চাওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷

গবেষণা নিবন্ধে ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগে শাস্তি হিসেবে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে দুই বছর পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান গত বছরের ৩১ আগস্ট উচ্চ আদালতে রিট করেন৷ ৪ আগস্ট উচ্চ আদালত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তকে ‘আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ বলে রায় দেন৷

এর মধ্যে চার মাসের অর্জিত ছুটি (আর্নড লিভ) নিয়ে গত বছরের শেষ দিকে সামিয়া রহমান বিদেশে যান৷ ছুটির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ মার্চ। ওই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারিতে বিনা বেতনে আরও এক বছরের ছুটি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন সামিয়া। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই ছুটি অনুমোদন করেনি। এরপর ৩১ মার্চ সামিয়া রহমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগাম অবসর চেয়ে আবেদন করেন৷ গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সামিয়াকে আগাম অবসরের অনুমতি দেয়৷

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক চিঠিতে সামিয়া রহমানকে বলা হয়, ‘৩১ মার্চের চিঠির বরাতে ও ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে জানানো যাচ্ছে যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আপনাকে দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে বিধি অনুযায়ী আগাম অবসর গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আপনার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদসহ জমা আছে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ২১৬ টাকা৷ হিসাব পরিচালকের দপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আপনার দেনা ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা৷ এই দেনা জনতা ব্যাংকের টিএসসি শাখায় জমা দিয়ে তার রসিদ রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দিতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *