রাশিয়া নিয়ে ভারতের ‘বাধ্যবাধকতা বুঝতে পেরেছেন’ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার পর ইউক্রেন সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও। আজ সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চু৵য়ালি বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে সরব হলেও এই প্রশ্নে ভারতের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তিনি অনুধাবন করতে পেরেছেন বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বধ৴ন শ্রিংলা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের শ্রিংলা বলেন, ভারতের অবস্থান কী মরিসন তা বুঝেছেন। দুই প্রধানমন্ত্রীই মনে করেন, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য ইউক্রেন সংকটকে কারণ হিসেবে খাড়া করা ঠিক হবে না। শ্রিংলা বলেন, ইউক্রেনের চলমান সংকট ও সে দেশের জনগণের দুর্দশা নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দুজনেই মনে করেন, অতি দ্রুত এই সংকটের অবসান হওয়া দরকার। তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন সম্পর্কে ভারতের মনোভাব কী, মরিসন তা বুঝতে পেরেছেন। এই যুদ্ধের প্রভাব যাতে ‘কোয়াড’–এর উদ্দেশ্যকে নষ্ট না করে সে বিষয়ে দুই নেতাই একমত। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে জাতিসংঘের সনদের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপরেও দুই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন বলে শ্রিংলা জানান।
কোয়াডের চার সদস্যের মধ্যে একমাত্র ভারতই এখন পর্যন্ত ইউক্রেন সংকটের জন্য সরাসরি রাশিয়ার নিন্দা করেনি। বাইডেন, কিশিদা ও মরিসন যেভাবে প্রকাশ্যে রাশিয়ার সমালোচনা করেছেন, সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন, নরেন্দ্র মোদি তা করেননি। কিশিদা বারবার রাশিয়ার সমালোচনা করলেও মোদি একবারও রাশিয়ার নাম উচ্চারণ করেননি। ভারতের এই আপাত নীরবতা কোয়াডের লক্ষ্যচ্যুতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে কি না, কিংবা চতুর্দেশীয় এই জোটকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলবে কি না, সেই প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। সেই আশঙ্কা যে অমূলক, সোমবার মরিসনের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা তা স্পষ্ট করে দেন। ভারতের মনোভাব মরিসনের ‘বোধগম্য’ হয়েছে বলে শ্রিংলা যে মন্তব্য করেন, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা অবশ্য দেওয়া হয়নি।