রঙিন হয়ে উঠুক শিশুর ঘর
শিশুর ঘরের অন্দরসজ্জা নিয়ে বেশ কিছুদিন আগেও বাবা–মায়েরা তেমন মাথা ঘামাতেন না। তবে মানুষ এখন অনেকটাই শৌখিন। শিশুদেরও যে আলাদা ঘরের প্রয়োজন, আর এই ঘরের অন্দরসজ্জাতেও যে দিতে হবে বিশেষ মনোযোগ, সেই ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠছেন বাবা–মায়েরাও।
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর ঘরের অন্দরসাজ তার মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। তাই শিশুর ঘরের অন্দরসজ্জায় শিক্ষণীয় উপকরণ বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া বাচ্চাদের ঘরে খুব বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। শিশুদের ঘরে একটু নিচু বিছানার আয়োজন রাখতে পারেন। দেয়ালজুড়ে বাচ্চাদের খেলনা গুছিয়ে রাখার জন্য রাখতে পারেন ওয়াল কেবিনেট। যেহেতু বাচ্চাদের ঘর, যদি সম্ভব হয় সে ক্ষেত্রে একদিকের দেয়ালে ওয়াল পেইন্টিং ভালো দেখাবে। সবচেয়ে প্রথম কথা হলো ঘরটা যেন শিশুর জন্য আরামদায়ক হয়। দরকারি প্রতিটি জিনিস যেন সে হাতের কাছে পায় এবং ঘরের কোনো আসবাবের কারণে সে যেন আঘাত না পায়। চলুন, তাহলে জেনে নিই কেমন হবে শিশুর ঘরের প্রতিটি কোণ।
ঘরের আসবাব
শিশুর ঘরে খুব বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। যে আসবাবগুলো শিশুর ঘরে রাখবেন, তাতে মজার মজার কার্টুন আঁকা থাকলে ভালো হয়। যদি কার্টুন আঁকা না পান, সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙের আসবাব রাখুন। তবে যে ধরনের আসবাবই রাখুন না কেন, এর নকশা যেন ধারালো না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।
পর্দা
শিশুর ঘরের পর্দায় একটু সফট রং ব্যবহার করুন। এই যেমন হালকা নীল, অফ হোয়াইট, টিয়া সবুজ রং ব্যবহার করতে পারেন। পর্দার কাপড়ের ম্যাটেরিয়াল সুতি বা কটন হওয়া ভালো। এতে সহজেই ঘরে আলো বাতাস ঢুকবে।
আরও যা কিছু?
শিশুর ঘরে রূপকথার আবহ তৈরির জন্য ঘরের ভেতরে ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সাদা রঙের মশারি। পছন্দমতো কাপড়ের ফ্রেমে বৃত্তাকারভাবে মশারির নেট জোড়া লাগিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই নান্দনিক মশারি। একইভাবে শিশুর খেলনা গুছিয়ে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন নাইলনের জাল দিয়ে তৈরি টয় নেট। দেয়ালে বাঁধিয়ে রাখতে পারেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি।
ঘরটা কি ছোট?
ঘরের আয়তন যদি কম হয়, তাহলে ঘরের প্রতিটি জায়গাই কাজে লাগাতে চেষ্টা করুন। খাটের নিচের অংশে ড্রয়ার রাখতে পারেন। এই ড্রয়ারে শিশু নিজের খেলনাও রাখতে পারে। ভাঁজ করে রাখা যায়, এমন টেবিল রাখতে পারেন ঘরে।