যে কারণে নিজেকে ‘মৃত’ বানিয়ে রেখেছিলেন রকিব
মেহেরপুরে ‘খুনের পর লাশ গুমের’ শিকার মো. রকিবুজ্জামান বলেছেন, সংসার জীবনে দুঃখ–কষ্ট ও হতাশা ছিল, এখনো আছে। সেসব থেকে দূরে থাকতেই নিজেকে মৃত করে রেখেছিলেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাঁকে আবার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। খুনের পর লাশ গুম করা হয়েছে অভিযোগ করে বাবার করা মামলার পাঁচ বছর পর পিবিআই গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রকিবের মেহেরপুরের গোভীপুর গ্রামের বাড়িতে কথা হয়। ওই বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন লোকজন। রকিব পাঁচ বছর পর এসেছেন, এ জন্য আশপাশের গ্রামের লোকজন তাঁকে দেখতে এসেছেন। মা শাহিদা খাতুন ছেলের জন্য মুরগি রান্না করছিলেন, ছেলের সঙ্গে দুপুরে খাবেন বলে।
বাড়ির সামনে লিচুবাগানে বসে রকিবের সঙ্গে কথা হয়। কেন তিনি সবকিছু ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, জানতে চাইলে তিনি একটু চুপ হয়ে যান। পরে বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট, দুঃখ ও হতাশা ছিল। শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্ত্রী মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বাবার বাড়িতে পারিবারিক কলহ হয়। চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এসব কিছু থেকে তিনি নিজেকে আড়াল করতে চেয়েছিলেন।