যুদ্ধ থামাতে চাইলে ম্যার্কেলকে মস্কোয় পাঠান

ম্যার্কেলের ছিল কুকুরভীতি। এরপরেও কুকুর নিয়ে বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন পুতিন। মানুষকে এভাবে যাচাই করতেন তিনি
ম্যার্কেলের ছিল কুকুরভীতি। এরপরেও কুকুর নিয়ে বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন পুতিন। মানুষকে এভাবে যাচাই করতেন তিনি

আতঙ্কিত বিশ্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চাপিয়ে দেওয়া নৃশংস যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে। কেউই যখন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ক্রেমলিনের বিপজ্জনক স্বৈরশাসক পুতিনের কাছে যেতে পারছেন না, সে মুহূর্তে তাঁর কাছে এখন একজনই যেতে পারেন। তিনি হলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল, যিনি অল্প কয়েক দিন আগেও জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন। টানা ১৬ বছর জার্মানির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করার সময় ২০১৪ সালে ইউক্রেন দখল করার চেষ্টা থেকে বিরত রাখাসহ পুতিনকে কিছুটা ভালো আচরণ প্রদর্শনের অবস্থায় রাখতে পেরেছিলেন তিনি।

ম্যার্কেলের অনন্য কিছু গুণ আছে। বিশ্বের অন্য যেকোনো নেতার চেয়ে তাঁর সঙ্গে পুতিনের হৃদ্যতাপূর্ণ ওঠাবসা ছিল। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা অন্য কোনো বিশ্বনেতার মধ্যে দেখা যায় না। ম্যার্কেল যখন দায়িত্বে ছিলেন, তখন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এখন বিশ্ব যে সংকটের মুখে পড়েছে, সেখান থেকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে তিনিই বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। সে কারণে তাঁকে অবসরজীবন থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি করানো উচিত।

https://10ms.io/WwmGDg
বিজ্ঞাপন

১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর বার্লিন প্রাচীর পতনের দিন থেকেই পুতিন ও ম্যার্কেলের জটিল সম্পর্কের শুরু হয়েছিল। ঘটনাটি পূর্ব জার্মানি নামের পুলিশি রাষ্ট্র থেকে ম্যার্কেলের সার্বিক মুক্তি পাওয়ার স্মারক হয়ে আছে। কারণ, পশ্চিম জার্মানিতে জন্ম নেওয়া ম্যার্কেল বাবার সঙ্গে পূর্ব জার্মানিতে এসে ৩৫ বছর আটকা পড়েছিলেন। বার্লিন প্রাচীর ভেঙে যাওয়ার পরপরই ম্যার্কেল তাঁর বিজ্ঞানীর (কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রিতে ডক্টরেট ডিগ্রি নেওয়া ম্যার্কেল ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত গবেষণা বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেছিলেন) সাদা অ্যাপ্রোন খুলে ফেলে খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নে যোগ দেন। পরে দলটির নেতা হন এবং একপর্যায়ে জার্মানির প্রথম নারী চ্যান্সেলর হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *