‘মাথা তো উল্টাপাল্টা হইয়ে যাচ্ছে, দেনা শোধ করতি হইলি যাইতে হবে বোম্বে’
খুলনার বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুরের কায়েমখোলা গ্রামের চাষি মো. আসাদ গাজী (৩৮)। গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে খুলনার স্টেশন রোড কদমতলা আড়তে বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পরপর তাঁর মুঠোফোনে ফোন আসছিল। কে ফোন দিয়েছে তা দেখেই আবার রেখে দিচ্ছিলেন; তবে ফোন রিসিভ করছিলেন না। কয়েকবার এ রকম করার পর ফোনটা বন্ধ করে রাখেন তিনি।
আসাদ গাজী বললেন, ‘দুই দিন হয়ে গেল শহরে আসছি। বাড়ি থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে। এদিকে তরমুজ বিক্রি করতে পারিনি। কাল ১০ হাজার টাকা কিস্তি আছে। ফোন ধরতিছি না। মাথা ঘুরতেছে। ফোনে কী জানাব, তা বুঝতিছিনে।’
আজ মঙ্গলবার সকালে কদমতলা আড়তে কথা হয় আসাদ গাজীর সঙ্গে। আসাদ এবার সাড়ে চার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় হারি (ফসল লাগানোর জন্য ইজারা) দিতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর সাড়ে চার বিঘায় খরচ হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা। খেতে তরমুজ বিক্রি করতে না পারায় খুলনার আড়তে তরমুজ নিয়ে এসেছেন। দেড় বিঘার তরমুজ মোকামে আনতে আবার খরচ হয়েছে সাড়ে আট হাজার টাকা। সেই তরমুজ গত দুই দিনে বিক্রি করতে পারেননি তিনি।