মন্ত্রী বললেন, ‘আমি ক্ষমা চাই’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

প্রায় ছয় বছর আগে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের রসরাজ দাস। বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে আইনটির ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বাতিল করা হলেও রসরাজের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর কারণ, ২০১৮ সালে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুরোনো অভিযোগে রসরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (গত বছরের ডিসেম্বরে) দিয়েছে পুলিশ। এই মামলার ঘানি টানতে টানতে তিনি প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

রসরাজ বলেছেন, আগে মামলার হাজিরা দিতে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যেতে হতো। শুধু যাতায়াতেই প্রায় ৬০০ টাকা খরচ হতো। এখন মামলাটি চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রামে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে হচ্ছে। একবার হাজিরা দিতেই যাতায়াত, থাকা-খাওয়া এবং আইনজীবীর খরচ মিলে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। যেখানে জেলে রসরাজের এক দিন মাছ না ধরলে সংসার চলে না, সেখানে এভাবে মামলা চালানো প্রায় অসম্ভব।

রসরাজের মতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আরও ছয়জন আসামি গতকাল শনিবার বিকেলে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজেদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁরা হলেন ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকার, মুন্সিগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল, কুমিল্লার শিক্ষক শংকর দেবনাথ, সুনামগঞ্জের সমাজকর্মী ঝুমন দাস, রংপুরের টিটু রায় ও পটুয়াখালীর জয়দেব শীল।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ও প্রকৃত অপরাধী’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *