ব্যবসা করার টিপস, কৌশল এবং নিয়ম গুলো – (সেরা 11 টি)
আপনিও কি ব্যবসা করার টিপস, কৌশল এবং নিয়ম (business tips in Bengali)গুলো জেনেনিতে চাইছেন যাতে নিজের ব্যবসাতে উন্নতি এবং অধিক লাভ করা যেতে পারে ? যদি হে, তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল কেবল আপনার জন্যই লিখা।
এই আর্টিকেলটিকে আপনারা ব্যবসা শুরু করার সেরা ১১ টি টিপস হিসেবে নিতে পারেন বা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কোন জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোতে নজর দিতে হবে সেই হিসেবে নিয়েও পড়তে পারেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষই ৯টা থেকে ৫টার চাকরি জীবনের পরিবর্তে ব্যবসাকে নিজের কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিতে বেশি পছন্দ করছেন।
ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যাপক উন্নতি ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে অনেক মানুষই ছোট ব্যবসার সূচনাও করে দিয়েছেন।
আর, এখনকার মানুষের পছন্দের জীবিকার মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে স্টার্ট-আপ বিজনেস বা entrepreneurship।
কিন্তু, এই প্রতিযোগিতার যুগে নিজের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখা বা ব্যবসাকে লাভের মুখ দেখানো অনেকের ক্ষেত্রেই বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ব্যবসা করার টিপস, কৌশল এবং নিয়ম গুলো – (সেরা 11 টি)
আজকের আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে চলেছেন, ব্যবসা করার সুচিন্তিত ১১টি সেরা টিপস সম্পর্কে, যা আপনাকে ব্যবসা ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
আপনি নতুন করে ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, বা অলরেডি কোনো ব্যবসা করছেন, দুটো ক্ষেত্রেই এই টিপস গুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
১. সঠিক পরিকল্পনা:
স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করা আর যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হওয়া দুটোই প্রায় সমান। আর, এই দুটো ক্ষেত্রেই প্রয়োজন রয়েছে সঠিক পরিকল্পনার।
যে কোনো ব্যবসার সাফল্যের পিছনেই থাকে সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও তার সঠিক প্রয়োগ।
তবে যেকোনো ধরণের পরিকল্পনা করতে গেলে, আপনার কোনো বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা জরুরি।
অৰ্থাৎ, আপনার নিজের প্ল্যান ও ব্যবসার কৌশলের ব্যাপারে আপনার চেনা-জানা ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে অবশ্যই বিস্তারে আলোচনা করুন।
প্রয়োজনে, আপনার পরিবার-পরিজন ও বিশ্বাসী বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথাবার্তা বলতেও দ্বিধা করবেন না।
কারণ, একটি চিন্তার থেকে ভালো একাধিক মানুষের চিন্তাভাবনা, যার থেকে আপনি শিক্ষা ও এক্সপেরিয়েন্স দুই পেয়ে সেটাকে সফলভাবে আপনার ব্যবসার উন্নতিতে কাজে লাগাতে পারেন।
এমনকি, আপনি পেশাদার কোনো ব্যবসায়ীর সাথেও শলা-পরামর্শ করতে পারেন, যা আপনাকে সিদ্ধান্তগ্রহণের সময় অনেকটাই সাহায্য করবে।
২. অভিজ্ঞতা সঞ্চয়:
আপনার ব্যবসার blueprint তৈরির সময়ে চেষ্টা করবেন, কেস স্টাডি নিয়ে ঘাটাঘাটি করার।
কিংবা, আপনার মতো সমতুল্য ব্যবসায়রা অলরেডি করছে, তাদের সাথে যুক্ত হয়ে, ব্যবসা সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
কারণ, বাস্তবিক ব্যবসায় আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে, নিজের ব্যবসায় সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় অনেকটাই সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
আর, অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা বলেই থাকেন, অভিজ্ঞতাই ব্যবসার ক্ষেত্রে তাদের প্রধান শিক্ষক।
৩. ধৈর্য্যশীল হন:
গাছ চড়তে গেলে যেমন প্রথমবারেই মগডালে ওঠা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনই, ব্যবসা করতে গেলেই প্রথমে ফলের আশা করা বৃথা।
যেকোনো ব্যবসাকে দাঁড় করতে গেলে, প্রথমেই প্রয়োজন কয়েক বছরের সময়, নিষ্ঠা ও চরম ধৈর্য্য।
ব্যবসা অনেকটা চাষের ফসলের মতো, আপনি মূলধন ব্যবহার করুন, ক্রয়-বিক্রয় করুন, কিন্তু বরাদ্দ সময় ও অনুকূল পরিস্থিতি না পেলে, ঠিক নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের মতোই আপনার ব্যবসার অবস্থা হয়ে যেতে পারে।
তাই, এই ক্ষেত্রে একজন সফল চাষীর মতো আপনার উচিত আপনার ব্যবসাকে পরিপক্ক হয়ে ওঠার মতো সময় দেওয়া ও সেই সময়ের মধ্যে প্রবল ধৈর্য্য ধরে থাকা।
যেহেতু, ব্যবসায় ঠিক-ভুল সবসময়ই চলতে থাকে, তাই আপনার উচিত অনুকূল ও প্রতিকূল দুই অবস্থাতেই মাথা ঠান্ডা রেখে, ধৈর্য্য ধরে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪. টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ:
ব্যবসার মূল উদ্দেশ্যই যেহেতু হল পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা, তাই প্রথমেই আপনার উচিত আপনার টার্গেট মার্কেট বা টার্গেট কনসিউমারদের খুঁজে বের করা।
কারণ, আপনার পণ্য বা পরিষেবা ভোগ করার মতো যদি কোনো কাস্টমারই না থাকে, তবে আপনার ব্যবসা একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়বে।
তাই, এই জন্যে প্রথমে আপনি আমরা টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করুন।
তাদের বয়স, রুচি, শখ, জাতীয়তা, বৈবাহিক অবস্থা, লিঙ্গ, পেশা, জীবনশৈলী, ভৌগোলিক অবস্থান, সব কিছুর ব্যাপারে সমীক্ষা করে দেখুন।
মানুষ তখনই কোনো পণ্য কিনতে বাধ্য থাকে, যখন তাদের জীবনে সেই পণ্যের চাহিদা থাকে।
তাই, একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার উচিত সেই চাহিদার জায়গাটিকে খুঁজে বার করা, আর তাদের সেই চাহিদা পূরণ করতে আপনার পরিষেবা বা পণ্য কতটা উপযোগী, তা তাদের বুঝিয়ে দেওয়া।
যেকোনো ব্যবসায়ীর প্রথম কাজই হল তাদের টার্গেট অডিয়েন্সের উপর সমীক্ষা করা কিংবা মার্কেট গবেষণা করা।
এখন অনেক অনলাইন সমীক্ষারও ব্যবস্থা রয়েছে, যার সাহায্যে ব্যবসায়ীরা চট করে নিজেদের সমীক্ষা সেরে ফেলতে পারেন।
এছাড়াও, এই কাজটি আপনি কোনো এজেন্সির মাধ্যমেও করতে পারেন।
এর থেকে আপনি আপনার পণ্যের চাহিদা ও বাজার সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণাও পেয়ে যেতে পারেন।
৫. মূলধন:
তা ব্যবসা ছোট হোক বা বড়ো কিংবা ডিজিটাল হোক বা ট্রাডিশনাল, মূলধন কম-বেশি সব ক্ষেত্রেই দরকার।
পুঁজি ছাড়া আজ অবধি কোনো ব্যবসা তৈরিই হয়নি।
লগ্নি সবধরণের ব্যবসাতেই প্রয়োজনীয়। অনেকে নিজের জমা পুঁজি সম্বল করে ব্যবসা করে, কেউ ব্যাংকের থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করে আবার কেউ মহাজনের থেকে টাকা ধার করেও ব্যবসা করে।
আবার অনেক সময়, বিভিন্ন দেশের সরকার স্টার্টআপ বিজনেস গুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্যেও লোনের ব্যবস্থা করেছে।
তবে, সব ক্ষেত্রেই মূলধন বিনিয়োগ নিয়ে একটা স্পষ্ট ঝুঁকি থেকেই যায়।
তাই, সেক্ষেত্রে সমস্ত উদ্যোগপতিদের উচিত নিজেদের ব্যবসার পাশাপাশি অন্য পেশার সাথে যুক্ত থাকা।
যাতে, শুরুতে ব্যবসায় ক্ষতি দেখা দিলেও, আর্থিক দিক থেকে যাতে তাদের দুরাবস্থায় পড়তে না হয়।
তাই, নতুন নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা করে সেকেন্ড সোর্স অফ ইনকাম থাকাটা বাঞ্চনীয়।
ব্যবসা শুরুর সময় একটা সুপরিকল্পিত বাজেট তৈরী করাও একান্ত প্রয়োজনীয়।
আপনার, বাজেট যত নিখুঁত ও সুপরিকল্পিত হবে, আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে পুঁজি বিনিয়োগও ততো বেশি সহজ ও হিসেবে-নিকেশের জটিলতাটাও অনেকটাই এড়ানো যাবে।
তার সাথে সাথে, আপনার ব্যক্তিগত ব্যয়ের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করে তবেই মূলধন জোগাড় করা উচিত কাজ হবে।
৬. অর্থ ব্যবস্থাপনা:
ব্যবসাতে পুঁজির হিসেব রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। যেহেতু, আপনি একটা স্টার্টআপ শুরু করছেন, তাই আপনার উচিত কোন খানে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, ও কোন খাতে অর্থের বিনিয়োগে লাভ আছে সেসব যাবতীয় হিসেব-নিকেশ গোড়া থেকে রাখা।
ব্যবসার প্রথমে ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের তুলনায় সবসময়ই বেশি হয়।
এই কারণে মানি ম্যানেজমেন্ট জানাটা উদ্যোক্তারদের একান্ত প্রয়োজনীয়।
এতে করে ব্যবসার কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করাটা ন্যায়সঙ্গত, তা সহজেই পর্যালোচনার মাধ্যমে বের করে নেওয়া যায়।
আর, তা থেকে আপনি অপ্রয়োজনীয় খরচার হাত থেকে আপনার ব্যবসাকে বাঁচাতে সক্ষম হতে পারেন।
ব্যবসার জগতে, একটা কথা খুব প্রচলিত আছে, আপনার পণ্য তৈরীর সময় বা পরিষেবা প্রদানের সময় যদি কম খরচে আপনি তা করতে পারেন, তবে সেই ব্যবসা থেকে আপনার উন্নতি করা অনেকটাই সহজ হয়ে পড়ে।
তাই, কোনভাবে পরিকল্পনা করলে আপনার ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট কমবে, তার ব্যাপারে আপনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ভেবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সবসময়, পুঁজির কিছু অংশ জামানত বা অতিরিক্ত টাকা হিসেবে সরিয়ে রাখুন, যাতে বিপদের সময় সেই টাকা আপনি কাজে লাগাতে পারেন।
এছাড়াও, কিছু পরিমাণ টাকা অতিরিক্ত খরচ হিসেবে হাতে রাখাও ভালো।
৭. ঝুঁকি নেওয়া শিখুন:
ব্যবসার শুরুতে লাভের আশা একমাত্র মূর্খরাই করে থাকে। প্রথমদিকে ব্যবসায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে অনেক ভুল হবে, তাতে আপনার ক্ষতিও হতে পারে বিস্তর।
কিন্তু ক্ষতির ভয়ে যদি আপনি বিনিয়োগ করতে ভয়ে পান, তবে সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা কোনোদিনই সাফল্য লাভ করতে পারে না।
তাই ব্যবসায় সাফল্যের জন্যে প্রয়োজন, ঝুঁকি নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়া আর সেই ক্ষতি থেকে নিজের ব্যবসাকে লাভের মুখ দেখানোর পথে অগ্রসর হওয়া এবং এর জন্যে দরকার ঝুঁকির সাথে মোকাবিলা করার মতো যোদ্ধার মনোভাবের।
মার্কেটিংয়ের জগতে, SWOT একটি খুব চেনা পরিভাষা।
এই SWOT হল স্ট্রেংথ বা শক্তি, উইকনেস বা দুর্বলতা, অপর্চুনিটি বা সুযোগ এবং থ্রেটস বা ঝুঁকি।
এই চারটি উপাদান পর্যালোচনা করে কোনো ব্যবসার পরিকল্পনা করলে, তা সূচনা থেকেই অনেক বেশি শক্ত ও স্টেবেল হয়ে থাকে।
৮. যথাযথ প্রচার ও মার্কেটিং:
বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ব্যবসার প্রচার ও প্রসারের উপর বিশেষ জোর দিয়ে থাকেন।
বিশেষ করে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলোর প্রভূত উন্নতি ও জনগণের চাহিদার কথা ভেবে ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর বেশি নজর দিচ্ছেন।
কারণ, ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন খরচ কম কিন্তু একসাথে বহু মানুষের কাছে সেকেন্ডের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।
তাই, একজন আধুনিক ব্যবসায়ী হয়ে আপনার উচিত আপনার ব্যবসার প্রচার, প্রসার ও বিস্তারে বিজ্ঞাপনের জন্যে একান্তভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পূর্ণ ব্যবহার করা।
প্রয়োজনে আপনি একটা সোশ্যাল মিডিয়া টিমও তৈরি করতে পারেন, যারা ডিজিটাল মাধ্যমে আপনার কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও প্রচারকে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন।
বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিং ছাড়া ব্যবসার জগৎ অন্ধকার। মানুষজনের কাছে পৌঁছতে গেলে ট্রাডিশনাল হোক বা ডিজিটাল, যেকোনো মার্কেটিংয়ের দরকার হবেই।
তাই, আপনার উচিত আপনার পুঁজির এক অংশ অবশ্যভাবেই পরিকল্পিত মার্কেটিং ও এডভার্টাইসমেন্টের কাজে লাগানো।
৯. পণ্যের গুণগত মান, সরবরাহ ও সঠিক মূল্য নির্ধারণ:
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিশেষত ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্য বা পরিষেবার গুণগতমান খারাপ হওয়ায়, তারা তাদের সম্ভাব্য ক্রেতা হারিয়ে ফেলছে। কিংবা, একটা অস্বাভাবিক মূল্যের জন্যে অনেক সময়ই অনেক খরিদ্দার ইচ্ছে থাকলেও শেষ মুহূর্তে তাদের পণ্য কিনতে চাইছেন না।
আবার অনেক সময় দেখা গেছে, অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে সময়মতো ডেলিভারি না পাওয়ায় কাস্টমাররা পুনরায় সেসব কোম্পনি থেকে আর ক্রয় করতে চাইছেন না।
তাই, এক্ষেত্রে আপনার নিজের পণ্যের মান, মূল্য ও সরবরাহের ব্যবস্থা সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকাটা জরুরি।
আপনার পণ্য বা পরিষেবার গুণগত মান সম্বন্ধে একমাত্র সঠিক ধারণা দিতে পারেন আপনার কাস্টমাররা।
তাই, তাদের ফিডব্যাক নেওয়ার চেষ্টা অবশ্যই করবেন।
তা, আপনাকে আপনার ভুলগুলো শুধরোতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, ব্যবসার ক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ারের ব্যবস্থা করতে পারলে আরও ভালো হয়।
১০. কৌশলী হন:
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে না পারলে, ব্যবসার জগতে টিকে থাকা দায়।
সবসময় চেষ্টা করুন নিজের ব্যবসায়িক বুদ্ধিকে শানিত করতে, ও মার্কেটের হাল-হকিকত নিয়ে সবসময় নাড়া-চাড়া করতে।
ব্যবসায় প্রতিযোগিতা না থাকলে যেমন উন্নতি হয়না, ঠিক তেমনই অতিরিক্ত অসম প্রতিযোগিতা, যেকোনো ব্যবসাকেই মুহূর্তে শেষ করে দিতে পারে।
তাই, নিজের প্রতিযোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে আপনি চলতে পারেন, সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব নিজেকে কৌশলী করে তুলুন।
মনে রাখবেন, এই দুনিয়ায় কেউ কারোর মুখে এমনি এমনি রুটি তুলে দেয়না, সেই রুটির জোগাড় ও পাকা বন্দোবস্ত আমাদের নিজেদেরকেই সকলের সাথে লড়ে আদায় করতে হয়।
১১. আত্মবিশ্বাসী হন:
নিজের ব্যবসা দাঁড় করানো মুখের কথা নয়। কঠোর তপস্যার মতো দিনরাত এক করে, এই ব্যবসার পিছনে আপনাকে পড়ে থাকতে হবে।
আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে, যেই পরিস্থিতিই আসুক না কেন, আপনাকে আত্মবিশ্বাসের সাথে মোকাবিলা করে আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করতে হবে।
আত্মবিশ্বাসের মধ্যে প্রচুর শক্তি আছে, তাই কোনো মুহূর্তেই নিজের আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে পড়তে দেবেন না।
আমার জানি ৮০% কর্ম আর ২০% আমাদের ভাগ্য কিন্তু, আমরা যদি এই ৮০% এর পুরোটাই দিতে পারি, তবে বাকি ২০%-ও আমাদের সাথ দিতে বাধ্য বলে আমি মনে করি।