বিনিয়োগ করিয়ে এখন নানা বিধিনিষেধ
জাপানের অটোমোবাইল খাতের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটর করপোরেশন ২০১৮ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে। বাংলাদেশ হোন্ডা লিমিটেড (বিএইচএল) নামের এই যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প সংস্থারও (বিএসইসি) মালিকানা রয়েছে।
বিএইচএলের কারখানাটি মুন্সিগঞ্জে। এতে কাজ করেন ৭০০ জনের বেশি কর্মী। ২০১৮ সালে কারখানা চালুর পর ব্যবসায় বিএইচএল ভালো করেছে। বছর বছর বিক্রি বেড়েছে। বাজার হিস্যার দিক দিয়ে তাদের অবস্থান উঠে এসেছে শীর্ষ চারে। তবে মোটরসাইকেল নিয়ে সরকারের সাম্প্রতিক কয়েকটি সিদ্ধান্তে অন্যান্য কোম্পানির মতো দুশ্চিন্তায় পড়েছে বিএইচএল।
সরকার গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। একটি নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। সেটি হলো লাইসেন্স প্রদর্শন ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি করা ও নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) দেওয়া যাবে না।
এত দিন শিক্ষানবিশ লাইসেন্স নিয়ে মোটরসাইকেল কিনে নিবন্ধন নেওয়া যেত। মোটরসাইকেল কিনে চালানো শেখার পর চূড়ান্ত লাইসেন্স নিতেন গ্রাহকেরা। এদিকে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার করা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্স গত মাসে আন্তজেলা ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছে।
মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক এসব বিধিনিষেধ শুধু বিএইচএল নয়, পুরো মোটরসাইকেল খাতকেই দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। তাদের আশঙ্কা, লাইসেন্স প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা মোটরসাইকেল কেনাবেচায় ধস নামবে। কারণ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বছরে দেড় লাখের মতো লাইসেন্স দিতে পারে। ওদিকে মোটরসাইকেল বিক্রি হয় প্রায় ছয় লাখ।