ফ্রিজ–টিভির দামও বাড়তি
কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম গত বছরের মার্চে জাপানি শার্প ব্র্যান্ডের ৩১৫ লিটারের একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে। ওই ফ্রিজের দাম এখন ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা করে। অর্থাৎ ১০ মাসে একটি ফ্রিজের দাম বেড়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা।
শুধু শার্প ব্র্যান্ডের ফ্রিজের ক্ষেত্রে নয়, প্রায় সব ব্র্যান্ডের ফ্রিজ–টিভিসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীতে ইলেকট্রনিক পণ্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বেশ কিছু বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, ব্লেন্ডার, গ্রাইন্ডারসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এসব পণ্যের দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
এই খাতের কোম্পানিগুলো বলছে, বৈশ্বিক বাজারে চিপসহ সব ধরনের কাঁচামালের দাম এবং পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। এর জেরে দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কয়েকটি শোরুমের বেশ কয়েকজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত গত বছরের বাজেটের পরে অর্থাৎ জুলাই মাস থেকেই ইলেকট্রনিকস পণ্যের দাম বাড়ছে। কোম্পানিগুলো একসঙ্গে দাম না বাড়িয়ে কয়েক দফায় দাম বাড়িয়েছে।
দেশি কোম্পানি ওয়ালটনের মিরপুরের পল্লবী এলাকার বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, তারা এখন ৩৪১ লিটারের ফ্রিজ বিক্রি করছে ৩৫ হাজার ৮০০ টাকায়। গত বছরের এই সময়ে এটির দাম ছিল ৩৩ হাজার টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ দেড় হাজার টাকার মতো দাম বেড়েছে এ ফ্রিজের।
একই ব্র্যান্ডের গ্রাইন্ডারের দাম এখন নেওয়া হচ্ছে ৪ হাজার ৬০০ টাকা, যা ছয় মাস আগেও ছিল প্রায় ১১০০ টাকা কম, অর্থাৎ ৩ হাজার ৫০০ টাকা।