ন্যানো গাড়িতে চড়ে হোটেলে রতন টাটা
![টাটা ন্যানো গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে রতন টাটা](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2022-05%2F7bad1d3b-0b35-4cc9-ad75-f402c39da60c%2FRatan_Tata.webp?auto=format%2Ccompress&format=webp&w=600&dpr=1.0)
ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি রতন টাটার কোম্পানি এক লাখ রুপি মূল্যের টাটা ন্যানো গাড়ি নির্মাণ করে অনেক ভারতীয় নাগরিকের গাড়ির মালিক হওয়ার সাধ পূরণ করেছেন। এই টাটা গাড়িতে করেই সম্প্রতি মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে যেতে দেখা গেছে টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রতন টাটাকে। ইতিমধ্যে সে ভিডিও ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। খবর এনডিটিভির।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি গাড়িতে করে তাজ হোটেলে এলেন রতন টাটা। সঙ্গে কোনো দেহরক্ষী নেই। তাঁর এ সাদাসিধে চলাফেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেককে মুগ্ধ করেছে। রতন টাটার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। এর নিচে মন্তব্যের জায়গায় অনেকে রতন টাটার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁর প্রশংসা করেছেন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কতটা সরল আর বিনয়ী।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘কিংবদন্তি’।
আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘সত্যিকারের মানবতার চেতনায় লালিত মহৎ মানবাত্মা।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘তাঁর কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’
কিছু দিন আগে টাটা ন্যানো নিয়ে নিজের আবেগঘন অনুভূতি প্রকাশ করে একটি নোট লেখেন রতন টাটা। সেখানে তিনি বলেন, ‘এ গাড়িটি আমাদের সব মানুষের ব্যবহার উপযোগী।’
ন্যানো গাড়ির উদ্বোধনকালীন একটি ছবি যুক্ত করে রতন টাটা লিখেছেন, ‘আমি দেখতাম, ভারতীয় পরিবারগুলো যেকোনো জায়গায় স্কুটারে চলাফেরা করছে, মা-বাবার মাঝখানে চ্যাপটা হয়ে বসে থাকতে হয় সন্তানকে। প্রায়ই সেভাবে পিচ্ছিল রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এসব দৃশ্য আমাকে গাড়িটি (টাটা ন্যানো) তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করায় আমার একটু সুবিধা ছিল। যখনই সময় পেতাম, নকশা করতাম। প্রথমে আমরা ভাবছিলাম, কীভাবে দুই চাকার গাড়িকে নিরাপদ করা যায়। চার চাকার একটি যানের নকশা তৈরি হলো, যেখানে কোনো দরজা-জানালা থাকবে না, শুধু মূল কাঠামো থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত গাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত হলো। ন্যানো সব সময়ই আমাদের সব মানুষের কথা ভেবেই তৈরি হয়েছে।’
২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টাটা ন্যানোর উদ্বোধন করে টাটা মোটরস। তবে বিক্রি কমে যাওয়াসহ বেশ কিছু কারণে ১০ বছর পর ২০১৮ সালে ন্যানো গাড়ি তুলে নেওয়া হয়।