দুর্ঘটনায় থেমে গেল ফুড ব্লগারের জীবন
মজাদার খাবারের খোঁজ পেলেই বেরিয়ে পড়তেন সিফাত রাব্বী। নজর রাখতেন বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবারের। সেসব খাবার নিজে পরখ করতেন, আবার তার গুণাগুণ ভিডিও করে রাখতেন। পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দিতেন। এভাবে ভোজনরসিক মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই তরুণ। তবে যাত্রাপথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। এ পর্যায়ে আসতে নানা বাধা, প্রতিবন্ধকতা পার হতে হয় তাঁকে।
ফুড ব্লগিংয়ে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই তরুণের প্রাণ গেল একটি দুর্ঘটনায়। গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ওঠানো যন্ত্রের চাকার নিচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সিফাত বন্দরের জুনিয়র আউটডোর অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সিফাতের বাবা আবদুল আউয়ালও বন্দরে চাকরি করতেন। আড়াই বছর আগে মারা যান। মা-বাবার এক ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সিফাত। কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন এই ছাত্র পড়াশোনা করেছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামে (আইআইইউসি)। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরিতে যোগ দেন।
চট্টগ্রামের বন্দরের হাইস্কুল কলোনিতে মা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন সিফাত। মাত্র চার মাস আগে গত অক্টোবরে ফারহানা ইসলামকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সুখের সংসারে আঁধার নেমে এল অতিদ্রুত। এ রকম মর্মান্তিক মৃত্যুতে বন্দর কলোনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে ফুড ব্লগারকে হারানোর শোক। অনেকের কাছে এমন মৃত্যু এখনো অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। ইউটিউবে তাঁর ‘ক্ষুধার্ত খাদক’ নামের একটি চ্যানেল রয়েছে।