তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৭০০
সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহর জান্ডারিসে ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭০০ হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, সোমবার ভোরে আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি ছিল চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। সাইপ্রাস ও লেবাননেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর পরেই বিকেলে ৭.৭ মাত্রার আরেকটি বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ভূমিকম্পে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের বের করতে উদ্ধারকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪ জনে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ভূমিকম্পে ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। তবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা কত হবে তা অনুমান করা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিআরটির লাইভ ফুটেজে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা প্রদেশে একটি ভবন ধসে পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আর কোনো তথ্য জানা যায়নি।
১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় প্রায় ৪৩০ জন নিহত ও ১ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র।
দিয়ারবাকিরে রয়টার্সের সাংবাদিকরা দেখতে পান, কয়েক ডজন উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। শহরের একটি ধসে পড়া ভবন থেকে কম্বলে মোড়ানো একটি মেয়েকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল কর্মীরা।
তুরস্কে সোমবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে।