কীভাবে ভেরিফায়েড করবেন আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফায়েড প্রোফাইল বা পেইজের কথা প্রায়ই শোনা যায়। জনপ্রিয় কোনও ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল বা পেইজের দিকে তাকালে লক্ষ্য করবেন পাশে একটা যাচাইকৃত প্রোফাইল বা নীল টিক চিহ্নযুক্ত ব্যাজ দেওয়া রয়েছে। এই যাচাইকৃত প্রোফাইল বা নীল টিক চিহ্নযুক্ত ব্যাজের মর্ম অনেকেই জানেন। অর্থাৎ প্রোফাইল বা পেইজটি ওই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে ‘ব্লু-ব্যাজ’ স্বীকৃত।
ফেসবুক সবার জন্য উন্মুক্ত, যে কেউ ইচ্ছা করলেই তার নিজের প্রোফাইল ও পেজ তৈরি করতে পারেন। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, তারকা হিসেবে সহজেই ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফায়েড করা যায়। এছাড়া নির্ধারিত ক্যাটাগরির ফেসবুক পেইজও ভেরিফায়েড করা সম্ভব। আলোচিত প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির নামে এমন ভুয়া অ্যাকাউন্ট বা পেইজ থেকে প্রচারণা চালানো হলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য সেটি ক্ষতির কারণও হতে পারে। তাই নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে প্রোফাইল বা পেইজের সত্যতা নিশ্চিতকরণ ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ফেসবুক দীর্ঘদিন ধরে এমন সুবিধা দিচ্ছে।
ফেসবুক যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আইডি বা পেইজ ভেরিফাইড করে সেগুলো হচ্ছে:
১। পাবলিক ফিগার।
২। সেলিব্রিটি।
৩। গ্লোবাল ব্র্যান্ড।
ফেসবুকের যেসব ক্রাইটেরিয়াগুলো আপনাকে ফলো করতে হবে সেগুলো হচ্ছে:
১। আপনাকে অবশ্যই অথেন্টিক হতে হবে।
২। ইউনিক হতে হবে।
এবার যেভাবে ফেসবুক ভেরিফায়েড করবেন :
* প্রথমে এই ঠিকানায় প্রবেশ করুন।
* এরপর পেজ বা প্রোফাইল নির্বাচন করুন।
* প্রোফাইল হলে নির্ধারিত বক্সে প্রোফাইলে লিংক দিন।
* অফিশিয়াল আইডি কার্ডের (যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ফোন বা ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি) স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
* অফিশিয়াল পেজের লিংক সাবমিট করুন।
* ‘Additional Information’ বক্সে কেন ভেরিফাই করতে চান তা উল্লেখ করুন।
* এবার Send বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই যে প্রোফাইল বা পেজে ভেরিফায়েড হয়ে যাবে, এমন নয়। কিন্তু এই তথ্যগুলো দিলে অন্যান্য সাধারণ ব্যবহারকারীও পেজের মালিক বা যিনি পরিচালনা করছেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন।