কাজ বাকি রেখেই খুলে দেওয়া হলো দুই উড়ালসড়ক
![ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকার উড়ালসড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সড়কটিতে এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2022-04%2Fddfa895a-3446-4798-8536-cd39826529af%2FGazipur_DH0615_20220425_Gazipur_N_pic__4_.jpg?auto=format%2Ccompress&format=webp&w=640&dpr=1.0)
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কাজ বাকি রেখেই গাজীপুরের নাওজোড় ও কালিয়াকৈরের সফিপুর বাজার এলাকার দুটি উড়ালসড়ক খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে একযোগে উড়ালসড়ক দুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
গত দুই বছর করোনার কারণে ঈদে খুব বেশি মানুষ বাড়িমুখী হননি। এবার করোনার প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষ পরিবার–পরিজন নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরু হলে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। এবারও সেই আশঙ্কায় আছেন ঘরমুখী মানুষ। ঈদযাত্রা ভোগান্তিহীন করতে সম্ভাব্য সব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এর অংশ হিসেবেই উড়ালসড়ক দুটি খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উড়ালসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। করোনার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় ওই কাজ শেষ হতে বেশ সময় লেগে যায়। ওই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ৮১০ মিটার। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এ ছাড়া সফিপুর বাজারে নির্মাণ করা হয় ১ হাজার ২৬২ মিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালসড়ক। ১০৫ কোটি টাকার সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের জুনে। দুটি উড়ালসেতুর কাজই শেষ করার কথা ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে।
![https://10ms.io/rwDoSb](https://banglamar.com/wp-content/uploads/2022/04/Poster-1.png)
সরেজমিনে দেখা যায়, উড়ালসড়ক দুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ হলেও সেখানে কার্পেটিং করা হয়নি। লাইটিংসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি। এসব কাজ শেষ হতে আরও প্রায় দুই মাস লেগে যেতে পারে। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে ঈদযাত্রা। এই সময়ে যাতে যানজট না হয়, সেই চিন্তা করে যানবাহন চলাচলের জন্য উড়ালসড়ক দুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।