এলাকাভেদে ভিন্ন হবে ভবনের উচ্চতা

রাজউক নতুন যে বিধিমালা করতে যাচ্ছে, তাতে জমি ও রাস্তার পরিমাণ একই থাকলেও পুরান ঢাকা, গুলশান ও সাভারে ভবনের আয়তন বা উচ্চতায় পার্থক্য হবে।

  • রাজউক এলাকায় এখন ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০৮ সালের ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী।
  • রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরের একাংশ রাজউকের আওতাধীন।
রাজউক ভবন
রাজউক ভবন 

ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ভবন নির্মাণসংক্রান্ত বর্তমান বিধিমালা পরিবর্তন করতে যাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ইতিমধ্যে এর একটি খসড়া করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালাটি পাস হলে রাজউকের আওতাধীন একেক এলাকায় একেক আয়তন বা উচ্চতার ভবন নির্মাণ করতে হবে।

https://10ms.io/SwFLdV
বিজ্ঞাপন

খসড়া বিধিমালা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এলাকাভিত্তিক ‘ফ্লোর এরিয়া রেশিও’ বা এফএআরের মানে পার্থক্য করা হয়েছে। এফএআর বলতে বোঝায়, যেখানে জমি রয়েছে, তার পাশের রাস্তা কতটুকু চওড়া, তা বিবেচনায় নিয়ে ভবনের আয়তন বা উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়।

রাজউক এলাকায় এখন ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০৮ সালের ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা অনুযায়ী। বিদ্যমান বিধিমালায় পুরান ঢাকার কোনো এলাকার রাস্তা যদি ৩০ ফুট চওড়া হয় এবং সেই রাস্তার পাশে কারও যদি ৫ কাঠা জায়গা থাকে, তাহলে তিনি সেখানে যে উচ্চতার ভবন করতে পারেন, গুলশান বা সাভারেও একই উচ্চতার ভবন নির্মাণ করা যায় (যদি রাস্তার প্রস্থ এবং জমির পরিমাণ একই থাকে)। বর্তমানে রাজউকের আওতাধীন সব এলাকাতেই এফএআরের মান সমান।

https://10ms.io/SwFLdV
বিজ্ঞাপন

এখন রাজউক যে বিধিমালা করতে যাচ্ছে, তাতে জমি ও রাস্তার পরিমাণ একই থাকলেও পুরান ঢাকা, গুলশান ও সাভারে ভবনের আয়তন বা উচ্চতায় পার্থক্য হবে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যেসব এলাকার জনঘনত্ব বেশি, সেসব এলাকায় এফএআরের মান কম ধরা হয়েছে। অর্থাৎ ভবনের আয়তন বা উচ্চতা কমবে। আর যেসব এলাকায় জনঘনত্ব কম, সেসব এলাকায় তুলনামূলকভাবে এফএআরের মান বেশি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভবনের আয়তন বা উচ্চতা বাড়ানো যাবে। খসড়ায় দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (উত্তরার ১ থেকে ১০ নম্বর সেক্টর) যে অংশে জনঘনত্ব বেশি, সে অংশে এফএআর ১ দশমিক ৬৩ এবং যে অংশে জনঘনত্ব কম, সেখানে এফএআর ৩ দমশিক ৪৩ দেওয়া হয়েছে।

https://10ms.io/SwFLdV
বিজ্ঞাপন

রাজউকের নগর–পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, খসড়া বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। খসড়াটি আরও পর্যালোচনার জন্য আগামী মে মাসে রাজউকে সভা হবে।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের (অক্ষয় দাস লেন, শাঁখারী নগর লেন) জনঘনত্ব একরপ্রতি ১ হাজার ৩৭৯ জন। এই ওয়ার্ডের প্রত্যাশিত ধারণক্ষমতা একরপ্রতি ১৫০ জন। ধারণক্ষমতার চেয়ে এখানে ৯ দশমিক ২ গুণ মানুষ বেশি বাস করে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে (জাফরাবাদ-রায়েরবাজার) এলাকায় একরপ্রতি ৬৬৮ জন বাস করে। এই এলাকার ধারণক্ষমতা একরপ্রতি ১৬৭ জন। এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে সাড়ে চার গুণ বেশি মানুষ বাস করে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ বাস করায় নাগরিক সুবিধা প্রকট হচ্ছে।

https://10ms.io/XwDonJ
বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *