এবার বিমান, ক্ষেপণাস্ত্রসহ ব্যাপক হামলা শুরু করল রাশিয়া

ইউক্রেনের দাবি, ইরানের তৈরি ড্রোন (শ্যাডেড ১৩৬) ব্যবহার করছে রুশ সেনারা। এমনই একটি ড্রোন তারা গুলি করে নামিয়েছে। ড্রোনটির ভাঙা অংশ। আজ মঙ্গলবার খারকিভ অঞ্চলে।
ইউক্রেনের দাবি, ইরানের তৈরি ড্রোন (শ্যাডেড ১৩৬) ব্যবহার করছে রুশ সেনারা। এমনই একটি ড্রোন তারা গুলি করে নামিয়েছে। ড্রোনটির ভাঙা অংশ। আজ মঙ্গলবার খারকিভ অঞ্চলে। 

যুদ্ধে গত এক সপ্তাহে রাশিয়ার সেনাদের বড় ধাক্কা দিয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। খারকিভ অঞ্চলসহ রাশিয়া সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের অনেক এলাকা তাঁরা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে কোণঠাসা রাশিয়ার বাহিনীকে কয়েকটি অঞ্চল থেকে পিছু হটতে হয়েছে। সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয়েছিল, তারা আবার গুছিয়ে আক্রমণ শুরু করবে। তারই প্রতিফলন দেখাতে শুরু করেছে মস্কো।

আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ সব দিক থেকেই রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করেছেন।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলে স্লোভিয়ানাস্ক ও কনস্টানটিনোভকা শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে নিখুঁত হামলা চালানো হয়েছে।

দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কিয়েভের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দখলে নেওয়া এলাকায় বেসামরিক লোকজনের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ড্রোনের ভাঙা অংশ
ড্রোনের ভাঙা অংশ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, খারকিভ অঞ্চলে বেসামরিক লোকজনের ওপর ইউক্রেনের সেনাদের আক্রোশ দেখানোর খবর পাওয়া গেছে। লোকজনের ওপর শাস্তিমূলক নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো ও অসদাচরণ করা হচ্ছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁর দেশের সেনারা চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই রাশিয়ার সেনাদের দখলে নেওয়া অঞ্চল থেকে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণে রাশিয়ার সেনাদের পিছু হটাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। তিনি ইউক্রেনের সেনাদের বীর হিসেবে অভিহিত করেন।

রাশিয়ার পক্ষ থেকেও কয়েকটি শহর ইউক্রেনের সেনাদের কাছে হারানোর বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা একে ইউক্রেনের বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে হামলা জোরদার করতে সেনাদের একত্র করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাশিয়ার এই পিছু হটা পরিস্থিতিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে উপহাস করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *