এখনই জট, ঈদে স্বস্তির আশা কম
পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে এলেও পদ্মা নদী পাড়ি দিতে ফেরিঘাট পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। পদ্মার ওপারে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে গতকাল শুক্রবার যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের সারির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের মতো। আর এপারে গতকাল দিনের প্রথমভাগে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় দুই কিলোমিটার সড়কে কয়েক শ বাস ফেরির জন্য অপেক্ষায় ছিল। ট্রাকের সারি আলাদা।
ঈদে শুধু এই ঘাট দিয়েই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রী নিয়ে বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করবে। কারণ, পদ্মা পাড়ির জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে ফেরি চললেও তাতে বাস পারাপার করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ঈদের আগে এখনকার তুলনায় তিনটি ফেরি বাড়বে। ফেরি ভেড়ানোর ঘাট বাড়বে একটি করে। ঈদের ছুটির মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন যেখানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে দুই পারে যানবাহনের বিশাল জট, সেখানে ঈদের সময় সামান্য সক্ষমতা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এবার ঈদে গত দুই বছরের চেয়ে মানুষ গ্রামের বাড়িতে বেশি যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এবার করোনার প্রকোপ নেই।