ই-কমার্সে ভোক্তার অর্থ ও তথ্যের সুরক্ষা জরুরি

প্রতীকী ছবি
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা কাজে লাগিয়ে করোনাকালে ঘরবন্দী মানুষ ই-কমার্সের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর তাই অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতের লেনদেন, উদ্যোক্তা, গ্রাহকের সংখ্যা এবং কর্মসংস্থানের গতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে আড়াই হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ও অনলাইনভিত্তিক প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন। বর্তমানে ই-কমার্স খাতের আকার ১০০ কোটি ডলার হলেও ২০২৩ সালে হবে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৬ হাজার কোটি টাকা।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী, করোনার মধ্যে ই-কমার্সে দুই লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আরও তিন লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে। করোনাকালের আগের তুলনায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি পণ্য অনলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেই ঘরে বসে ব্যবসা করছেন হাজার হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু সংশয় তৈরি হয়েছে এর ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা নিয়ে। ব্যবস্থাপনা দুর্বলতার কারণে ভোক্তার সুরক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ভোগান্তির পাশাপাশি অর্থ ও ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে প্রতারিতও হচ্ছেন ভোক্তারা। ফলে দ্রুত বর্ধনশীল এই খাতে ভোক্তারা আস্থার সংকটে পড়ছেন।
ই-কমার্স খাতে ভোক্তার অর্থের ও তথ্যের সুরক্ষা খুবই জরুরি। পণ্য কেনার পর নির্দিষ্ট সময়ে ভালো মানের পণ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে ভোক্তাদের। সময়মতো ভালো মানের পণ্য না পেলে ভোক্তারা চাইলেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে সমাধান পেতে পারেন। ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী সময়মতো পণ্য না পাওয়া ছাড়াও মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ওজন বা মাপে কারচুপি, নকল পণ্য বা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। ভোক্তা অধিকার আইন ছাড়াও অন্তত ১৮টি আইনে ভোক্তার স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।