ইন্টারনেট নিয়ে এই নতুন সিদ্ধান্ত গ্রাহকের ওপর কী প্রভাব ফেলবে
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের (আইএসপি) ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যাশ সার্ভার সরাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে ইন্টারনেটের গতি কমতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যয়ও বাড়বে।
ক্যাশ সার্ভার কী, সেটা জেনে নেওয়া জরুরি। ধরুন, আপনি ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখলেন। এই ভিডিওর বিপরীতে ডেটা এল ইউরোপ থেকে। একবার দেখার পর ভিডিওটির বিপরীতে ডেটা আপনার ইন্টারনেট সেবাদাতার সার্ভারে জমা হবে। এরপর যতবার এ দেশের গ্রাহক ওই ভিডিও দেখবেন, তা ওই সার্ভার থেকে দেখানো হবে। নতুন করে ইউরোপ থেকে ডেটা আনতে হবে না।]
ক্যাশ বসানোর সুবিধা হলো, মানুষের কাছে জনপ্রিয় কনটেন্ট বা আধেয়র বিপরীতে বেশি গতিতে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যায়। কারণ, এই আধেয়র বিপরীতে ডেটা স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারে জমা থাকে। বারবার ডেটা পরিবহন করতে হয় না বলে ইন্টারনেট সেবাদাতার খরচও কম থাকে।
বিটিআরসি গত ১ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশনায় জানায়, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইইজি) ও ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (নিক্স), মোবাইল অপারেটর নেটওয়ার্ক এবং নেশনওয়াইড আইএসপি (যারা সারা দেশে সেবা দেয়) কমিশনের অনুমতি নিয়ে ক্যাশ সার্ভার স্থাপন করতে পারবে। স্থানীয় পর্যায়ে আইএসপিদের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করে দিতে হবে। এ জন্য সময় ছিল গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। অবশ্য ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্সের ক্যাশ সার্ভার নিক্স অপারেটর প্রান্তে স্থাপনের অনুমতি বহাল রয়েছে।