ইন্টারনেট কি এবং কিভাবে কাজ করে ? (About Internet In Bangla)

ইন্টারনেট কি (What Is Internet In Bangla) : ইন্টারনেট (Internet), নেটওয়ার্ক (network ) এর এমন একটি বিশাল জাল, যেটা পুরো বিশ্বের (Globally) কম্পিউটার নেটওয়ার্কের (computer network) সাথে পরস্পরে (interconnected) সংযুক্ত (connected) হয়ে আছে। এবং, এই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক পরস্পরে একে আরেকটি ডিভাইসের (device) সাথে বিশ্বব্যাপী (worldwide) ভাবে লিংক বা কানেক্ট হওয়ার জন্য “Internet protocol suite (TCP/IP)” ব্যবহার করেন।

ইন্টারনের মানে কি
Learn about Internet in Bangla

এখন, আপনি যে, “ইন্টারনেটের বিষয়ে” আমার এই আর্টিকেল পড়ছেন, সেটাও কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে। হতেপারে, আপনি একটি মোবাইল ফোনে বা কম্পিউটারে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন।

কিন্তু, আমার অনলাইন ওয়েবসাইটের সাথে কানেক্ট বা লিংক হওয়ার জন্য, যেকোনো ডিভাইসে আপনার সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যাকে আমরা ইন্টারনেট বলি, তার ব্যবহার করতেই হবে।

আজ, প্রায় সব রকমের জিনিসের বা কাজের জন্য আমাদের, এই ইন্টারনেটের ব্যবহার করতেই হয়।

আজ ইন্টারনেট কোনখানে নেই ? লোকেদের ঘরে ঘরে, অফিসে, বিভিন্ন কার্যালয়ে  এবং মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের হাথে হাথে ইন্টারনেট রয়েছে।

এবং, এই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা একে আরেকজনের সাথে অনেক সহজে সংযুক্ত বা কানেক্ট হয়ে থাকতে পারছি। সত্যি বললে, এর ব্যবহার ছাড়া এখনের সময়ে কিছুই কাজ সম্ভব না।

ইন্টারনেট কাকে বলে (Internet Meaning In Bangla) এর ব্যাপারে সবটাই আমি আপনাকে বলবো। কিন্তু, তার আগেই জেনে রাখুন, আজকাল লোকেরা না খেয়ে, না ঘুমিয়ে, বিনা বিদ্যুৎ সেবায় থাকতে পারবে কিন্তু, এই Internet ছাড়া তো কখনোই থাকতে পারবেনা।

আপনি হয়তো ভাবছেন, এইটা কেবল বলার কথা। কিন্তু, আজ বাচ্চার থেকে young ছেলে মেয়েরা এবং তাদের থেকে মধ্যম বয়েসের লোকেরা, সবাই নিজের নিজের মোবাইল ডিভাইসে ব্যস্ত হয়ে থাকেন। এবং, যদি আপনি তাদের জিগেশ করেন যে তারা কি করছেন, তখন উত্তর পাবেন “Internet“.

কেও হয়তো, অনলাইন ভিডিও দেখছেন আবার কেও হয়তো একে আরেকজনের সাথে কথা বলছেন আবার অনেকেই হয়তো বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান নেয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। সোজা ভাবে বললে, এ আপনাকে পুরো ২৪ ঘন্টা ব্যস্ত করে রাখতে পারবে।

সত্যি বললে, ইন্টারনেটের এই সুবিধা আমাদের জন্য একটি অবদান। এবং, এর ব্যবহার না করে থাকাটা আজ আমাদের জন্য একটি অসম্ভব বেপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাহলে চলুন, ইন্টারনেট মানে কি ? কিভাবে কাজ করে , এর লাভ ও সুবিধা এবং এরকমি কিছু আরো জিনিস ইন্টারনেটের ব্যাপারে আমরা নিচে ভালো করে জেনেনেই।

ইন্টারনেট কি ? (What Is Internet In Bangla)

ইন্টারনেট (Internet), আধুনিক টেলিযোগাযোগের (Telecommunication) একটি নেটওয়ার্ক বা মাধ্যম যেটা telephone lineতার (cables)satellitesবেতার সংযোগ (wireless connections) ব্যবহার কোরে কম্পিউটার বা অন্য ডিভাইস গুলিকে World Wide Web (www) এর সাথে আমাদের সংযুক্ত (connect) করে।

World Wide Web (www) হলো ইন্টারনেটে তথ্য গ্রহণের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে, হাইপারটেক্সট লিংক (hypertext link) এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্ট (document) বা ফাইল একে একের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে।

ফলে, এই hypertext link এর ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন হিসেবে, একটি ডকুমেন্ট বা তথ্যের থেকে আরেকটি ডকুমেন্ট বা তথ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।

এবং, প্রয়োজন হিসেবে নিজের কম্পিউটারে সেই তথ্য বা ডকুমেন্ট গুলি প্রাপ্ত করতে পারেন।

আজ, সব ধরণের কম্পিউটার ডিভাইস যেমন modern computer, laptop, smartphone, smart TV এবং আরো অন্য ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট হতে পারে।

সোজা ভাবে ইন্টারনেট কাকে বলে ?

ইন্টারনেট এমন একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেই নেটওয়ার্ক পৃথিবীর সব থেকে বড়ো এবং ব্যস্ত। সোজা ভাবে বললে, বিশ্বের সব কম্পিউটার গুলি যেই নেটওয়ার্ক দ্বারা একে আরেকটির সাথে সংযুক্ত হয়ে আছে, সেই নেটওয়ার্কটি হলো ইন্টারনেট।

যখনি আমরা, আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে, এই নেটওয়ার্কের (ইন্টারনেট) সাথে সংযুক্ত হয়ে যাই, তখন আমরা নেটওয়ার্কের একটি বিশাল জালের ভাগ হয়ে দাড়াই। এবং একে “Global network” বলা হয়।

এখন, যেই Global network এর সাথে আমরা সংযুক্ত (connect) হয়ে আছি, তার সাথে কানেক্টেড (connected) যেকোনো কম্পিউটারে থাকা যেকোনো তথ্য আমরা আমাদের কম্পিউটার বা ডিভাইসে প্রাপ্ত করতে পারি।

আসলে, একটি ডিভাইসের মাধ্যমে, এই Global network এর সাথে connect হয়ে, বিশ্বের অন্য অন্য কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন তথ্য, ফাইল বা ডকুমেন্ট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহার করা কম্পিউটার নেটওয়ার্কটি (computer network) হলো ইন্টারনেট (Internet).

তাহলে, “ইন্টারনেট মানে  কি” এবেপারে আপনার কিছু জ্ঞান হয়তো এখন হয়েছে।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ? (How Does Internet Works)

এখন প্রশ্ন এটাই আসে যে, নেটওয়ার্ক এর এই বিশাল জাল, যাকে আমরা ইন্টারনেট বলি সেটা কাজ কিভাবে করে ? আমরা ইন্টারনেটের সাথে কিভাবে কানেক্ট হতে পারি ? মানে ইন্টারনেটের কাজ করার উপায় বা প্রক্রিয়া কি।

আমি ওপরে আপনাদের বলেছি, ইন্টারনেট হলো সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা বিশ্বের বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে যোগ (connect) হয়ে আছে। ঠিক সেভাবেই, যেভাবে আমাদের ঘরের ল্যান্ডলাইন ফোন (landline phone) একে আরেকটির সাথে তারের মাধ্যমে connect হয়ে আছে।

ইন্টারনেটের সঠিক ভাবে কাজ করার জন্য তাকে তার Global network এর সাথে তার (wire) বা বেতার (wireless) যেকোনো একটির  মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েই থাকতে হবে।

এবং তারপর, গ্লোবাল নেটওয়ার্কে জড়িত থাকা বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে আমাদের কম্পিউটার “Router” এবং “Server” এর মাধ্যমে সংযোগ (connect) হয়ে, বিভিন্ন data এবং information সংগ্রহ করে নেয়। এভাবেই কাজ করে ইন্টারনেট।

এখন, ইন্টারনেট (internet) কাজ করার জন্য ৩ টি জিনিসের প্রয়োজন। 

  • একটি ডিভাইস (device) যেখান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার বা চালু করা যাবে।
  • Internet service provider (ISP) থেকে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করা।
  • একটি ওয়েব ব্রাউসার (Web browser) বা এপ্লিকেশন।

১. একটি ডিভাইস (Device) এর প্রয়োজন 

ইন্টারনেট কাজ করার জন্য প্রথমেই হবে একটি ডিভাইস এর প্রয়োজন। সেই ডিভাইস, একটি কম্পিউটার (Computer), ল্যাপটপ (Laptop), স্মার্টফোন (smartphone) বা ট্যাবলেট (Tablet) যেকোনো একটা হতে পারে। আজকাল বিভিন্ন স্মার্ট টিভি বের হয়ে গেছে জেগুলিতেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

এখন, একটি ডিভাইসের (device) পর আমাদের প্রয়োজন হবে একটি ইন্টারনেট কানেক্শনের (connection).

২. ISP থেকে ইন্টারনেট সেবা নিতে হবে 

ইন্টারনেট কানেক্শন (Internet connection) নেয়ার পর আমরা আমাদের ডিভাইস বা কম্পিউটারকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে, Global network এর সেই বিশাল জালের সাথে কানেক্ট করতে পারি।

আমরা অনেক সহজেই, আমাদের আসে পাশে থাকা Internet Service Provider (ISP) গুলির থেকে ইন্টারনেট সেবা (internet service) নিয়ে নিতে পারি। Airtel, Vodafone, Idea বা BSNL এই কোম্পানি গুলি আমাদের telecommunication services দেয়ার সাথে সাথে internet service ও প্রদান করেন।

তাই, এগুলিও একটি internet service provider বা ISP.

ISP গুলির থেকে ইন্টারনেট সেবা কিনে বা নিয়ে আমরা তারপর তার (wire) বা বেতার (wireless) যেকোনো মাধ্যমে নিজেদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট সেবা কানেক্ট করে নিতে পারি।

ইন্টারনেট কানেক্ট হয়ে যাওয়ার পরের অবস্থাটাকে “অনলাইন” বলা হয়।

৩. ডিভাইসে একটি ওয়েব ব্রাউজারের প্রয়োজন 

মনে রাখবেন, যেকোনো ডিভাইসে, ইন্টারনেট কাজ করার জন্য বা ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য, আপনার একটি ওয়েব ব্রাউজার (web browser) বা অন্য কিছু এপ্লিকেশন (application) এর প্রয়োজন হবে।

ওয়েব ব্রাউজার এমন একটি সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন, যে আপনাকে আপনার কম্পিউটার বা ব্যবহার করা ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটের সেই নেটওয়ার্কের জালের সাথে সংযুক্ত হতে দেয় যাকে আমরা “গ্লোবাল নেটওয়ার্ক” বলি।

এবং, তারপর ডোমেইন (Domain)আইপি (IP) এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড অন্য অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য, ফাইল বা ডকুমেন্ট দেখতে বা গ্রহণ করতে পারি।

মনে রাখবেন, আধুনিক ইন্টারনেটের সেবার দ্বারা আমরা অন্য অনেক কাজ করতে পারি। যেমন, অনলাইনে ভিডিও কল (video call), অনলাইন মেসেজে চ্যাটিং (online chatting), ফটো বা ভিডিও শেয়ার করা, ভিডিও দেখা আরও অনেক।

এবং, ইন্টারনেটের এই আলাদা আলাদা অনলাইন সেবা ব্যবহার করার জন্য আপনার কিছু আলাদা আলাদা এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতে পারে।

কেবল, ওয়েব ব্রাউসার দিয়েই সবটা সম্ভব না।

তাহলে, ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে, এবেপারে হয়তো আপনি ভালো করেই বুঝে গেছেন।

ইন্টারনেটের ইতিহাস (History Of Internet)

ইন্টারনেটের আবিস্কার করাটা কিন্তু সহজ কাজ কখনোই ছিলোনা। এবং, কেবল একজনের পক্ষেও এই টেকনোলজি (Technology) খুঁজে বের করা সহজ কাজ না। Internet আবিস্কার করার জন্য, অনেক programmer, scientist এবং engineer দেড় প্রয়োজন হয়েছিল।

আমেরিকার একটি এজেন্সী (american agencyARPANET স্থাপনা হয়েছিল ১৯৬৯ শনে। এবং, এই এজেন্সির কাজ ছিল, একটি কম্পিউটার কে আরো একটি কম্পিউটারের সাথে সংযোগ বা কানেক্ট করার।

পরে, ১৯৮০ সনের পরে পরে গিয়ে এই টেকনোলজির নাম “ইন্টারনেট” হয়ে দাঁড়ালো।

১৯৮৩ সনের ১ তারিখে ইন্টারনেটের আরম্ভ হয়েছিল। ইন্টারনেট শুরু হওয়ার সময় একে বলা হতো  “Network of network” যদিও আজকের modern society তে এর নাম “Internet” হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু, আগেই অনলাইনের দুনিয়া এতো ভাবে স্বীকার করার যোগ্য (recognizable) ছিলোনা। কিন্তু, ১৯৯০ র পর যখন “computer scientist Tim Berners-Lee” উদ্ভাবিত (invented) করলো world wide web (www) এর, তখন লোকেদের জন্য এই ইন্টারনেট অনেক কাজের, মজার এবং স্বীকার করার যোগ্য হয়ে দাঁড়ালো।

ইন্টারনেটের মালিক কে ? ইন্টারনেট কে উদ্ভাবন (invent) করেছে 

এখন, আমরা যদি বলি যে, ইন্টারনেট কে আবিস্কার করেছে বা ইন্টারনেটের মালিক কে, তাহলে তার কোনো সোজা জবাব নেই।

যা আমরা ওপরে বললাম, ARPANET নামের এজেন্সিতে অনেক scientist, programmer এবং engineer কাজ করেছে। এবং, তারাই ইন্টারনেটের বিষয়ে গবেষণা (research) করা শুরু করলেন। এবং, সত্যি বললে এরা সবাই ইন্টারনেটের উদ্ভাবনের জন্য দায়ী।

কিন্তু, internet বললে আমরা এর সবথেকে জরুরি ভাগ “TCP/IP PROTOCOL” টাকেই ভাবি। এবং, এই “TCP/IP PROTOCOL” টি উদ্ভাবন (invent) করেছিলেন Vincent Cerf [sic] and Robert Kahn.

ইন্টারনেটের (internet) ব্যবহার (Uses Of Internet)

আজ ২০১৯ এ, ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং কাজের কোনো সীমা নেই। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আমরা অনলাইন টেকনোলজির (Online technology) ব্যবহার করছি।

সে, অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে data, information বা document গ্রহণ করার থেকে লাইভ ভিডিও কল করা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা, দেশ বিদেশের লোকেদের সাথে call বা messages এর মাধ্যমে কথা বলা এবং ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহণ করা। সবটাই ইন্টারনেটের ব্যবহার করে সম্ভব।

আজ, যেকোনো জিনিসের ব্যাপারে আমরা নিমিষের মধ্যেই জ্ঞান পেয়ে যেতে পারি ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এবং, এরকম আরও অনেক ধরণের কাজ আমরা করতে পারি যেগুলি কোনোদিন ধারণাও করা হয়নি।

ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার, আমাদের জীবন অনেক সহজ এবং সোজা কোরে দিতে পারে।

তাহলে  চলুন, নিচে আমরা ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহার জেনেনি যেগুলি এখনকার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বা প্রচলিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *