ইনস্যুরেন্সের টাকা ও ব্যাংকঋণ থেকে মুক্তি পেতে বরকত-রুবেলের ১২ বাসে আগুন

ফরিদপুর জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার বিকেলে
ফরিদপুর জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার বিকেলে

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন বাস পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন আজ সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ইনস্যুরেন্সের টাকা দাবি ও ব্যাংকঋণের দায় থেকে মুক্তি পেতে অর্থ পাচার মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলের ১২টি বাস পোড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় বরকত–রুবেলের ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ফরিদপুর শহরের পশ্চিম গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম ওরফে জনি (২৪) ও পারভেজ মৃধা (২১) এবং পাশের নদরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪১)। তাঁদের মধ্যে জহুরুল ও মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জহুরুল ইসলাম ফরিদপুর শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকায় রাখা বরকত ও রুবেলের মালিকানাধীন ২২টি বাস দেখাশোনা করতেন। মোহাম্মদ আলী ওই বাসগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নৈশপ্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এ ছাড়া পারভেজ মৃধাকে এ মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *