ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় কিভাবে করবেন (Earn Money Online)

কিছুদিন আগেই, Facebook থেকে টাকা আয় কিভাবে করবেন সেই বেপারে বলেছিলাম। তবে আজকে, ইন্টারনেটে অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট “ইনস্টাগ্রাম” থেকে কিভাবে অনলাইন টাকা আয় করবেন, সেই ব্যাপারে আপনাদের বলবো। (How To Earn Money From Instagram account).

কিভাবে ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করবেন ?

Facebook এর পরেই, আজ ইনস্টাগ্রাম সব থেকে বেশি ও অনেক জলদি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া “social networking website” হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবং, এই Instagram ওয়েবসাইটে লোকেরা ১ থেকে ২ বছর কষ্ট কোরে, তারপর মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।

শুনে অবাক হচ্ছেন তো ?

অবশই হওয়ার কথা।

তবে, ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে টাকা আয় করাটা কিন্তু প্রথম অবস্থায় অনেক কষ্টের বিষয়।

কারণ, প্রথম অবস্থায় আপনার দিতে হবে প্রচুর সময় এবং করতে হবে প্রচুর পরিশ্রম।

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার জন্য, আপনার Instagram এ হতে হবে “বিখ্যাত (famous)“.

এবং, Instagram এ বিখ্যাত (famous) হওয়ার জন্য, আপনার নিজের একটি “audience” তৈরি করতে হবে।

নিজের তৈরি করা “Instagram audience” বা “followers” এর মাধ্যমে, ভবিষ্যতে আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

তাই, চলুন Instagram থেকে অনলাইন ইনকাম করার নিয়ম বা উপায় গুলির ব্যাপারে জানার আগেই, আমরা জেনেনেই “কিভাবে নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বিখ্যাত করবেন”।

Note : Instagram account বিখ্যাত হলে, নিজের একাউন্টে অনেক “audience” বা “followers” পাবেন। এবং, যতটাই বেশি ফলোয়ার্স তৈরি করতে পারবেন, টাকা আয়ের সুযোগ ততোটাই বাড়তে থাকবে।

Instagram এ followers কিভাবে বাড়াবেন ?

Instagram থেকে আয় করার আগেই, আপনার একজন “Instagram influencer” হয়ে দাঁড়াতে হবে।

এবং, Instagram influencer তারা যারা যেকোনো একটি বিশেষ বিষয় বা নিশ (niche) নিয়ে online content তৈরি করেন এবং সেই কনটেন্ট এর মাধ্যমে নিজের audience বা followers বাড়াতে থাকেন।

আপনাকেও একটি বিশেষ নিশ (niche) নিয়ে নিজের একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে।

তাছাড়া, একাউন্ট তৈরি করার পর নিচে দেয়া নিয়ম গুলি ভালো করে করলে, অনেক সহজে ও কম সময়ের ভেতরে অধিক পরিমানে ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার্স বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

# Create attractive profile bio 

নিজের একাউন্ট তৈরি করার পর, সব থেকে প্রথমেই নিজের “Profile bio” ভালো করে ভরতে হবে।

এমন ভাবে bio লিখবেন, যাতে লোকেরা সেটা পরে ভালো এবং কাজের প্রোফাইল বলে অনুভব করেন।

তাছাড়া, bio তে কোনো রকমের মিথ্যে বা ভুল জিনিস লিখবেননা।

নিজের প্রোফাইল বাইওতে “Hashtags (#)” অবশই ব্যবহার করবেন। মানে, যেই বিষয় বা নিশ টার্গেট করে প্রোফাইল তৈরি করেছেন, সেগুলিকে hash tag ব্যবহার করে বাইওতে লিখবেন।

যেভাবে আমি ওপরে blogging, technology এবং online income শব্দ গুলিতে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করেছি।

তাছাড়া, নিজের প্রোফাইলে email id এবং contact details সঠিক ভাবে লিখবেন।

# Post content regularly

আপনাদের মধ্যে অনেকের মনেই এই প্রশ্ন রয়েছে যে, কিভাবে ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার্স বাড়াবো।

তবে, সহজে ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে ফলোয়ার্স বাড়ানোর তেমন কোনো নিয়ম বা শর্টকাট (shortcut) নেই যদিও, আপনারা একটি সাধারণ মাধ্যম অবশই ব্যবহার করতে পারবেন।

সেটা হলো, “Publishing content regularly“.

হে, আপনার প্রত্যেক দিন নিজের একাউন্টে ভালো ভালো photos পাবলিশ করতে হবে।

এতে, আপনি নিজের followers বা audience দেড় ধরে রাখতে পারবেন এবং নতুন নতুন user রা সহজে আপনাকে ফলো করতে রুচি রাখবেন।

সহজে অধিক ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার্স পাওয়ার জন্য, আমি নিচে দেয়া পরামর্শ হিসেবে কনটেন্ট পোস্ট করবেন।

  1. প্রত্যেক দিন ২ থেকে ৩ টি করে ছবি পাবলিশ করবেন।
  2. প্রত্যেক দিন ৩ টি করে stories পাবলিশ করবেন।
  3. সম্ভব হলে প্রত্যেক দিন ১ টি করে ভিডিও আপলোড করতে হবে।

এভাবে নিজের একাউন্টে কনটেন্ট পাবলিশ করলে, জেকেও অনেক সহজে আপনার কনটেন্ট দেখেই আপনাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করবেন।

# ভালো ভালো ফটো (photos) তুলতে হবে 

মনে রাখবেন, Instagram profile এ সব সময় “high quality ফটো” আপলোড করবেন। যেকোনো ছবি আপলোড করার আগেই, সেটা ভালো করে এডিট অবশই করে নিবেন।

কারণ, এডিটিং এর মাধ্যমে, আপনারা যেকোনো ছবি, অধিক আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করে নিতে পারবেন।

যেকোনো ছবি মোবাইলে এডিট করার জন্য আপনারা google play store এ অনেক apps পেয়ে যাবেন।

# Always use Hash Tags (#)

যেকোনো অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক যেমন, Twitter, Instagram বা LinkedIn সবগুলোতেই # (hashtags) আপনার পোস্ট (post) এর reach বৃদ্ধি করতে প্রচুর সাহায্য করে।

যতটা বেশি hashtags ব্যবহার করবেন, ততোটাই বেশি লোকেরা আপনার কনটেন্ট বা পোস্ট দেখার অধিক সুযোগ হয়ে উঠবে।

Instagram এ আপনারা প্রত্যেক picture বা images এ ৩০ টি করে hashtags ব্যবহার করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, আপনি আপনার কনটেন্ট এর বিষয়ের সাথে জড়িত hashtags ব্যবহার করতে হবে।

# Build engagement with followers

আপনার Instagram account এ যদি হাজার লক্ষ followers রয়েছে কিন্তু তাদের সাথে আপনি engagement রাখছেননা, তাহলে কিন্তু সেই ইনস্টাগ্রাম একাউন্টের কোনো মান (value) থাকবেনা।

তাই, Instagram এ followers বাড়ানোর সাথে সাথে, নিজের followers দেড় কিভাবে ধরে রাখবেন বা engaged রাখবেন, সেই ব্যাপার নিয়েও কিন্তু ভাবতে হবে।

এই ক্ষেত্রে, আপনারা নিচে দেয়া পরামর্শ গুলি দেখে নিন।

  1.  Regular ভালো ভালো images এবং photos পাবলিশ করার সাথে সাথে, ২ থেকে ৩ দিনের ভেতরে একটি “live session” অবশই করবেন। এতে, অনেক সহজে নিজের followers দেড় সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন।
  2.  নিজের প্রোফাইলে আশা প্রত্যেক “comment” গুলিতে “reply” অবশই করবেন।
  3. নিজের একাউন্টে অধিক পরিমানে “Instagram stories” পাবলিশ করার চেষ্টা করবেন।

তাহলে, যদি আপনারা ওপরে আমি বলা হিসেবে জিনিস গুলি ফলো করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে প্রায় ৩ থেকে ৫ মাসের ভেতরে আপনার ১০ থেকে ২০ হাজার ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার্স (Instagram Followers) হয়ে যাবে।

এবং, যদি আপনাদের একাউন্টে ১০ থেকে ১৫ হাজার ফলোয়ার্স রয়েছে, তাহলে অবশই ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার কথা ভাবতে পারবেন।

কিভাবে Instagram থেকে টাকা আয় করবেন ?

ইনস্টাগ্রাম থেকে অনলাইন ইনকাম করার এমনিতে বিশেষ ৫ টি উপায় বা মাধ্যম রয়েছে, যেগুলির ব্যাপারে আমি আপনাদের নিচে এক এক করে বলবো।

১. অন্যদের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট প্রোমোট কোরে

হে আপনারা ঠিক শুনেছেন, এরকম অনেক “Instagram user” রয়েছেন যারা নিজের নতুন ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট প্রোমোট বা প্রচার করার জন্য, কিছু পপুলার ও জনপ্রিয় একাউন্টের মালিক দেড় টাকা দিয়ে একাউন্ট প্রোমোট করেন।

তাই, আপনার একাউন্টে যদি অধিক পরিমানে ফলোয়ার্স থাকে, তাহলে এরকম নতুন নতুন একাউন্ট প্রোমোট করার বিপরীতে টাকা নিতে পারবেন।

তবে, “Instagram” থেকে এই মাধ্যমে টাকা আয় করাটা তেমন সুবিধাজনক নয় যদিও প্রত্যেক একাউন্ট প্রোমোট করার জন্য প্রায় ১০ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত টাকা আদায় করতে পারবেন।

যারা, এই ধরণে নিজেদের একাউন্ট প্রোমোট করতে চাইবেন তারা আপনাকে নিজেই contact করবেন।

তবে, আপনার নিজের “Instagram account” অনেক “popular” ও জনপ্রিয় হতে হবে।

সোজা ভাবে বললে, আপনার একাউন্টে অধিক পরিমানে followers থাকতে হবে।

২. Sponsor post তৈরি করে আয় 

Sponsor post” মানে, যেকোনো brand, product বা digital service এর বিষয়ে, নিজের ব্লগে প্রোমোট বা প্রচার করা।

এবং, যেই কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনারা sponsor post এর মাধ্যমে promote করবেন সেই কোম্পানির থেকে কিছু পরিমানে টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

যদি আপনার Instagram account অনেক জনপ্রিয় হয়ে থাকে বা তাতে হাজার হাজার ফলোয়ার্স থাকে, তাহলে অনেক ধরণের company বা individuals দেড় থেকে sponsor post এর offer অবশই পাবেন।

এই ধরণের প্রত্যেক sponsor posts এর বিনিময়ে আপনারা ১০ থেকে ২০ ডলার টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

এমনিতে, “Instagram influencer” রা এই ধরণের “paid sponsorship” খোঁজার জন্য অনেক পোর্টাল (portal) গুগল সার্চে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।

তবে, ifluenz.com এই ধরণের paid sponsors খোঁজার জন্য সেরা।

এখানে একাউন্ট তৈরি করে, বিভিন্ন sponsors দেড় সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন।

৩. নিজের আপলোড করা ছবি বিক্রি করে 

আপনারা হয়তো জানেন, ইন্টারনেটে ছবি বিক্রি করেও অধিক পরিমানে টাকা আয় করা সম্ভব।

তাই, যদি আপনারা নিজের Instagram account এর জন্য ভালো ভালো “professional” এবং “high quality images” আপলোড করেন, তাহলে সেই ছবি গুলির দ্বারা আপনারা online income করতে পারবেন।

ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন “stock image website” যেমন “Shutterstock“, “Fotolia“, “iStockphoto“, “Pond5” এবং আরো অনেক ধরণের ওয়েবসাইটে নিজের একাউন্ট তৈরি করে, সেগুলিতে images আপলোড করে টাকা আয় করতে পারবেন।

Stock image ওয়েবসাইট গুলিতে আপলোড করা আপনার ছবিগুলি যখন কেও কিনেন, তখন প্রত্যেক image download এর জন্য আপনাকে $1 থেকে $3 এর ভেতরে টাকা দেয়া হয়।

তবে, আয় করা টাকার পরিমান কম বেশি হতে পারে। সেটা সম্পূর্ণ রূপে, সেই stock image website এর ওপরে নির্ভর।

তাই, এভাবে নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টের জন্য নেয়া ছবিগুলি বিক্রি করে আপনারা অনলাইন টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৪. Affiliate marketing এর মাধ্যমে আয় 

Affiliate marketing এর মাধ্যমে জেকেও অনেক ভালো পরিমানে অনলাইন টাকা আয় করতে পারেন।

তবে, এই মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য, আপনার ভালো পরিমানে user base বা followers থাকা দরকার।

আসলে, আজকাল যেকোনো কোম্পানি তাদের product এবং service সহজে বিক্রি ও প্রচার করানোর জন্য বিভিন্ন “bloggers“, “YouTubers” এবং “social media influencer” দেড় এই affiliate marketing এর সুযোগ দেন।

তাই, যদি আপনি একজন “social media influencer” বা আপনার একটি Instagram account রয়েছে যেখানে হাজার হাজার followers আছে, তাহলে আপনারা এই affiliate marketing এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির product বা services এর প্রচার কিছু লিংক (link) এর মাধ্যমে করতে পারবেন।

এই ধরণের লিংক গুলিকে “affiliate link” বলা হয়।

এবং, যখনি আপনার Instagram profile এ প্রচার করা এই affiliate link ব্যবহার করে, আপনার followers দেড় মধ্যে কেও কিছু কিনে নিবেন, তখন আপনাকে সেই product এর কোম্পানির থেকে কিছু টাকা commission হিসেবে দেয়া হবে।

অনলাইন ইন্টারনেটে এরকম হাজার হাজার product বা services রয়েছে যেগুলি সহজে বিক্রি করিয়ে আপনারা ভালো পরিমানের “commission income” করতে পারবেন।

৫. নিজের products বিক্রি করে আয় 

আপনারা দেখবেন, হাজার হাজার brands তাদের একটি Instagram account তৈরি করেন।

এবং, তাদের একাউন্টে অনেক বেশি পরিমানে followers থাকে।

তবে, আপনারা কি ভাবেন, তারা এতো বড়ো সংখ্যায় থাকা ফলোয়ার্স দেড় নিয়ে কি করেন ?

জানেননা ?

তারা, এই বড়ো সংখ্যায় থাকা followers দেড় কাছে নিজেদের products এবং services এর প্রকার প্রচার এবং marketing করেন।

এতে, তারা নিজেদের পণ্যের বিক্রি অধিক বেশি পরিমানে বাড়িয়ে নিচ্ছেন।

Instagram আজ অনেক পপুলার এবং জনপ্রিয় একটি social media platform .

তাই, এখানে যেকোনো বিষয়ে প্রচার করাটা অনেক সহজ এবং খুব কম সময়ের ভেতরে অনেক বড়ো সংখ্যায় লোকেরা প্রচার করা পণ্যের বিষয়ে জেনেনিতে পারেন।

তাহলে, আপনার যদি নিজের কোনো product বা service রয়েছে, তাহলে সেটার বিষয়েও আপনি নিজের “Instagram account” এর মাধ্যমে প্রচার ও মার্কেটিং করতে পারবেন।

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, আজ বিভিন্ন লোকেরা শাড়ী (saree) এবং অন্যান্য কাপড় জামা এরকম social media platform এর দ্বারা প্রচার এবং বিক্রি করছেন।

তাই, আপনার যদি একটি “Instagram account” রয়েছে যেটাতে হাজার হাজার “followers” আছে, তাহলে নিজের product অবশই marketing করতে পারবেন।

এবং, এই ভাবেই আপনারা আজ নাহয় কাল একটি সফল অনলাইন বেচা কেনার মাধ্যম তৈরি করে নিতে পারবেন।

যতটা বেশি আপনার followers হবে, ততটাই বেশি লোকেরা আপনার products এর ব্যাপারে জানবেন।

ফলে, আপনার পণ্য অধিক বেশি পরিমানে লোকেদের মাঝে প্রচার হবে ও বিক্রি হওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে, আপনারা যেকোনো পণ্য বা সার্ভিস অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।

তবে, সেই জিনিস বা পণ্য লোকেদের কাজে আসর মতো হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *