ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের ‘দ্বৈত নীতি’

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশের ধরন নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে দ্বৈত নীতি অনুসরণের (দ্বিমুখী আচরণ) অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা মনে করছেন, সিরিয়া ইয়েমেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের যুদ্ধকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তার চেয়ে ইউক্রেন পরিস্থিতিকে ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা চলছে। আবার যে ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধকবলিত দেশগুলোর নাগরিকদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয়, সেই একই ইস্যুতে ইউক্রেনীয়দের মহান হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এমনকি ইউক্রেনীয়দের সভ্য দেশের নাগরিক হিসেবে দেখাতে গিয়ে অন্য দেশের শরণার্থীদের নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করতেও দ্বিধা করছেন না পশ্চিমা সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদেরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, রুশ অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৯৮ জন ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। এর বেশির ভাগই পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পরপরই এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে বিভিন্ন দেশ। রাশিয়ার ব্যাংক, তেল শোধনাগার ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা শুরু হয়।
পশ্চিমা বিশ্বের এমন আচরণকে দ্বৈত নীতি (দ্বিমুখী আচরণ) হিসেবে দেখছেন অনেকে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশ্ব দ্রুত পদক্ষেপ নিলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংঘাতের ক্ষেত্রে এত দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় না তারা।