আসলামুল হক নেই, তবে তাঁর দখল রয়ে গেছে

কল্যাণপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন সরকারের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁদেরকে শাসাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। পরদিন ২০১০ সালের ১ নভেম্বর ছবিটি ছাপা হয় প্রথম আলোতে। এই সংসদ সদস্যের(প্রয়াত) বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার জায়গাসহ অন্তত চারটি জায়গা দখলের অভিযোগ আছে
কল্যাণপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন সরকারের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁদেরকে শাসাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। পরদিন ২০১০ সালের ১ নভেম্বর ছবিটি ছাপা হয় প্রথম আলোতে। এই সংসদ সদস্যের(প্রয়াত) বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার জায়গাসহ অন্তত চারটি জায়গা দখলের অভিযোগ আছে 

আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের ‘দখল’ করা প্রায় ৬৫ একর জমি এখনো উদ্ধার হয়নি। সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানার এসব জমির নিয়ন্ত্রণ এখন আসলামুল হকের ভাই মফিজুল হক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. ইসলামের হাতে।

আসলামুল হক ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনায় মারা যাওয়া আগপর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের বেশ কিছু অভিযোগ ছিল।

দখল করা সেসব জমির এখনকার নিয়ন্ত্রকদের একজন আসলামুল হকের ভাই মফিজুল হক ওরফে বেবু জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। আর মো. ইসলাম দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আসলামুল হকের দখল করা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫৪ একর জমির মধ্যে শুধু নদীর তীরের ১৩ একর জমি উদ্ধার দাবি করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাকি ৪১ একর ও রাজধানীর একাধিক স্থানে আসলামুল হকের দখলে থাকা ২৪ একর জমিসহ মোট ৬৫ একর জমি এখনো উদ্ধার করা যায়নি বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

জানতে চাইলে মফিজুল হক প্রয়াত আসলামুলের দখল করা একটি জমির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। আর মো. ইসলাম বলেছেন, তিনি আসলামুল হকের সহকারী ছিলেন। ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তাঁর জমিজমা তত্ত্বাবধান করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *